ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

কুষ্টিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মত ছাত্রীদের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম

কুষ্টিয়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের মত ছাত্রীদের বিক্ষোভ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কুষ্টিয়ায় শহরের আড়ুয়াপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফি‍‍`র বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলে, তৃতীয় দিনেরমত বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ওই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবী করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ছাত্রীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ বিক্ষোভ করে। এর আগে গত ১২সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এবং ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফি‍‍`র বিরুদ্ধে অনৈতিক ও অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। একই সাথে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকেরও পদত্যাগ দাবী করে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত শিক্ষকরা পদত্যাগ না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষনা দেন তারা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফি প্রত্যেক শ্রেণি কক্ষে ঢুকে ক্লাস নেয়ার সময় ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক ও অশালীন আচরণ করেন এবং আজেবাজে কথা বলেন। এছাড়া অনেক কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন। বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা শান্তাকে অনেকবার অবগত করা হয়। প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের সহকার শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরং প্রধান শিক্ষিকা ছাত্রীদের স্কুল থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়। এছাড়া নানা হুমকি ধামকি দেন। ছাত্রীরা আরো বলেন, প্রধান শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা শান্তা অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের পক্ষে কথা বলেন এবং তার সাথে চলাফেরা করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন এবং নানা অজুহাতে ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা তোলেন।

এদিকে ছাত্রীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের সন্তানদের আমরা স্কুলে লেখাপড়া করতে পাঠায়। কিন্তু বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমাদের সন্তান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানা আজেবাজে কথা বলেন। সেগুলো আমাদের সন্তানরা আমাদেরকে বলে। বিষয়টি প্রধান শিক্ষিকার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আমরা ও-ই শিক্ষকদের পদত্যাগ দাবি করছি। অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল কাফির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এসব অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে প্রধান শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ কিছুটা সত্য, কিছুটা বাড়তি। জেলা প্রশাসক না থাকাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু তার  নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। 

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাঃ আমিরুল ইসলাম জানান, সরকারের গাইড লাইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরবি/জেডআর

Link copied!