ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পাইকগাছায় অতিবৃষ্টিতে ১২ কোটি টাকার ক্ষতি

রুপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৮:৪৬ পিএম

পাইকগাছায় অতিবৃষ্টিতে ১২ কোটি টাকার ক্ষতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ও পৌরসভায় ফসলি জমি মাছের ঘের তলিয়ে প্রায় ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, মৎস্য ঘের এবং পুকুর। বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। ৪-৫ দিনের ভারী বর্ষনে উপজেলার কপিলমুনি, পৌরসভার বাতিখালী, সরল, গোপালপুর, শিববাটী এবং বান্দিকাটীর বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়ক, পুকুর ও ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

সরল আবাসন এলাকার বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, যাতায়াতের রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার শত শত পরিবার। পুকুর তলিয়ে গিয়ে সব মাছ ভেসে গিয়েছে বলে জানান বায়েজিদ হোসেন।

গোপালপুর গ্রামের আক্তার গোলদার বলেন, আমার আমন ধান ৪-৫ দিন পানির নীচে রয়েছে।

নেটপাটা অপসারণ, স্লুইচ গেট ও ড্রেনগুলো সচল করার মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে পৌরসভার প্যানেল মেয়র এসএম ইমদাদুল হক ও কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন।

কয়েক দিনের ভারী বর্ষনে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। ভারী বর্ষায় প্রায় সব ধরনের দিনমজুরের কাজ বন্ধ রয়েছে। মানুষ ঘর থেকে খুব বেশি বের হতে পারেনি। বান্দিকাটী গ্রামের দিনমজুর ইউনুস গোলদার বলেন দিনমজুরের কাজ করেই সংসার চলে। কয়েকদিন কোথাও কাজ করতে পারিনি। কিভাবে সংসারের খরচ যোগাড় করবো এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

এদিকে টানা ভারী বর্ষনে পৌরসভার পাশাপাশি গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি, রাড়ুলী, চাঁদখালী, লস্কর ও গড়ইখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট, ফসলি জমি, পুকুর জলাশয় ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। অসংখ্য চিংড়ি ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গিয়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া রিপন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাশ বলেন, অতি বর্ষনে উপজেলার ৯ হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল এবং ১৯০ হেক্টর জমির সবজি ফসল তলিয়ে গেছে। এছাড়া অন্যান্য ফসলের ও ক্ষতি হয়েছে।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক জানান, অতি বৃষ্টিতে দুই হাজার চিংড়ি ঘের এবং এক হাজার পুকুর জলাশয় তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ১২ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সকল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!