বাংলাদেশে যখন চলছে ছাত্র জনতার আন্দোলন। হয় নীরব অভ্যুথান। গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেশের এই পরিস্থিতির মাঝে বাংলাদেশের জন্য বিদেশের মাটি থেকে একটি জয়ের খবর বয়ে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সীমান্ত শহর যশোরের বেনাপোলের কৃতি সন্তান রাব্বী হোসেন রাহুলসহ তার দল। সাফ অনুর্ধ ২০ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় ৪-১ গোলের ব্যবধানে নেপালকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। বিদেশের মাটিতে ওড়ে জয়ের লাল সবুজের পতাকা। মিরাজের দুই গোলের পর দৃষ্টি নন্দন গোল করে রাহুল। রাহুল বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে।
‘মাদক একেবারে নয়-ফুটবল খেলায় মিলবে জয়’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ফুটবল খেলে দেশ বিদেশের মাটি থেকে সফলতা বয়ে এসেছেন জাতীয় ফুটবল দলের বেনাপোলের কৃতি ফুটবলার রাব্বি হোসেন রাহুল। মঙ্গলবার বিকেলে ফুল ও ক্রেষ্ট দিয়ে রাহুলকে সংবর্ধিত করেছেন সতীর্থরাসহ বেনাপোল সিএন্ডএফ ষ্টাফ এসোসিয়েশনের সদস্যরা। এসময় বেনাপোল নুর ইসলাম ফুটবল একাডেমির সদস্যরা ছাড়াও অন্যান্য ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন।
মাদকের অভয়াশ্রম খ্যাত বেনাপোল থেকে নানান ধরনের প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়েও হার না মানা সদাহাস্য উজ্বল তরুণ রাব্বী হোসেন রাহুল একের পর এক দৃষ্টি নন্দন গোল করে চমকে দিয়েছেন ফুটবল প্রেমীদের দেশ ছাড়িয়ে বহিবিশ্বে। দেশের জন্য করেছেন গৌরব অর্জন। তাকে সন্মানিত করতে পেরে খুশি সহপাঠিরা। আগামীতে রাহুলের মতো ভাল ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তারা। বেনাপোল নুর ইসলাম ফুুটবল একাদশ থেকে সাবেক জাতীয় টিমের ফুটবলার কোচ সাব্বির হোসেন পলাশের হাত ধরে এগিয়ে যাওয়া রাহুলের সাফল্যে গর্বিত দেশ ও বেনাপোল বাসি। এর আগে ঢাকা থেকে যশোর বিমান বন্দরে নামলে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা রাহুলকে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।
জাতীয় দলের তরুণ ফুটবলার রাব্বি হোসেন রাহুল বলেন, দীর্ঘদিন জাতীয় ফুটবল দলে যশোরের প্রতিনিধিত্ব ছিল না। আমার দ্বারা সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে। এটা অনূভুতি প্রকাশ করার মতো না। বেনাপোলের নুর ইসলাম ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা বেনাপোলের সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটনসহ এলাকার ফুটবল প্রেমীদের অনুপ্রেরনা ও সহযোগিতায় আমি আজ জাতীয় দলে খেলছি। অনেক সতীর্থরা নুর ইসলাম ফুটবল একাডেমি থেকে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকার বিভিন্ন বড় বড় ফুটবল ক্লাবে। তাদের অনুপ্রেরনায় আমিও যেতে চাই ফুটবলের অনেক উচ্ছতায়। এ জন্য তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতা চান।
তিনি আরো বলেন, আসলে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাওয়া কঠিন। কিন্তু এটা ধরে রাখা আরও চ্যালেঞ্জিং। যাতে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জায়গা ধরে রাখতে পারি তার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছি। এছাড়া ছোট থেকে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল খেলার জন্য কি করতে হবে তা শিখেছি আমার স্যার (কোচ) সাব্বির আহমেদ পলাশের কাছ থেকে। তাই পলাশ স্যারের সঠিক দিক নির্দেশনায় দীর্ঘদিন জাতীয় দলে ফুটবল খেলতে পারবো বলে আশা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :