মাত্র কয়েক বছর আগে পৃথিবীর আলো দেখেছে, এখন কথা বলতে পারে হয়তো কয়েক দিন পর অন্যসব ছেলে মেয়েদের সাথে এক সাথে স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া করতো কিন্তু কে জানে বাবা-মার স্বপ্ন এভাবে ক্ষীণ হয়ে যাবে। বলছি পটুয়াখালী কলাপাড়ার চোখের ক্যান্সার আক্রান্ত ছয় বছরের জামিলার কথা।
উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ধানখালী গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর সোহেল হাওলাদার সাত মাসের এক ছেলে, ছয় বছরের মেয়ে জামিলা ও স্ত্রীকে নিয়ে কাটাচ্ছিল সুখের সংসার কিন্তু হঠাৎ করে তার সংসারে নেমে এলো যেন অমাবস্যার অন্ধকার। মেয়ে চোখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার পর হতদরিদ্র দিনমজুর বাবা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। শিশু জমিলার চোখে আটটি ক্যামো দিতে হবে জানিয়েছে চিকিৎসক। প্রতিটি ক্যামো দিতে প্রায় বিশ হাজার টাকা দরকার যা কিনা দিনমজুর বাবার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না।
জামিলার পিতা সোহেল হাওলাদার জানান, শিশুকাল থেকে তিন বছর পর্যন্ত জামিলার জ্বর ও খিচুনি হতো। কলাপাড়ায় ডাক্তার দেখালে ডাক্তার বলেছে এগুলো জ্বরের কারনে হয়। জ্বর কমলে ঠিক হয়ে যাবে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়াতাম। এরপর তিন বছর ভালো ছিলো। এবছর মার্চের প্রথম দিকে চোখ লাল ও সানির মতো দেখে দিলে ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটাল ঢাকাতে চোখের সানির অপারেশন করাই। অপারেশন করার পর চিকিৎসক বলে অপারেশন সাকসেস হয় নাই। চোখে টিউমারে ক্যান্সার আছে ক্যামো দিতে হবে। দিন মজুরের কাজ করি এতদিন কোন টাকা জোগাড় করতে পারি নাই। কিছু টাকা জোগাড় করে একটা ক্যামো দিতে এসেছি। বর্তমানে ধানমন্ডি আশিক পালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট টিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছি। অসহায় বাবা মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবান মানুষের কাছে সাহায্য কামনা করছে।
শিশু জামিলাকে চিকিৎসা সহায়তার পাঠানোর ঠিকানা পিতা সোহেল হাওলাদার মোবাইল নম্বর 01792461995 (রকেট)।
আপনার মতামত লিখুন :