ঢাকা সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
২০ দিনের ছোট-বড় আপন দুই ভাই!

জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেন সেনাবাহিনী ও শিক্ষকের চাকরি

জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৯:১১ পিএম

জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেন সেনাবাহিনী ও শিক্ষকের চাকরি

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় তথ্য গোপন করে কৌশলে বয়স জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বড় ভাই সেনাবাহিনীতে ও ছোট ভাই একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মো. মতিউর রহমান ও মো. মঞ্জুরুল ইসলাম মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আলাদা আলাদা ছবি দিয়ে দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাদের বয়সের ব্যবধান মাত্র ২০ দিন। বড় ভাই মতিউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি শেষ করে অবসর গ্রহণ করেছেন। ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম একটি (এমপিওভুক্ত) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বড় ভাই মতিউর রহমান উচ্চ মাধ্যমিক পাশ ও ছোট ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম অনার্স পাশ করেছেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেও সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে কিভাবে এ নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে বড় ভাই মো. মতিউর রহমানের জন্ম তারিখ ১০ জুন ১৯৮০ এবং মো. মঞ্জুরুল ইসলামের জন্ম তারিখ ৩০ জুন ১৯৮০। সেই হিসেবে তাদের দুই ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান মাত্র ২০ দিন। মঞ্জুরুল ইসলাম ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের চর সগুনা এসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ২০১৪ সালে তিনি ওই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। সঠিক জন্ম তারিখ না দিয়ে চাকরির জন্য বয়স কমিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের কাজ চলছে। নোটারি পাবলিক করে ঠিক করা হবে। ওই সময় কেরানী স্যারেরা জন্ম তারিখ বসিয়ে দিয়েছে।’

রাজনীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগেই রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে রিজাইন দিয়েছি।’

মেলান্দহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজাদুর রহমান ভূইয়া বলেন, বয়সের বিষয়টি তার সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, চাকরি নেওয়ার সময় যদি কোনো জালিয়াতি করে থাকে তাহলে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে সেটা তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিবো।

আরবি/ এইচএম

Link copied!