শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন 

বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম

বগুড়ার দুই সাংবাদিক গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন 

সাংবাদিক বকুল হোসেন ও ফিরোজ কামাল ফারুক। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর পর বগুড়ায় হত্যাসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় নন্দীগ্রাম উপজেলার জ্যেষ্ঠ দুই সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে। বগুড়া সদর থানার হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দৈনিক করতোয়া‍‍`র প্রতিনিধি বকুল হোসেন। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি।

এছাড়া হত্যাসহ জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুর-নাশকতার একাধিক মামলায় দৈনিক কালের কন্ঠ ও ভোরের দর্পণ প্রতিনিধি ফিরোজ কামাল ফারুককে আসামি করা হয়েছে। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দায়ের করা মামলাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন জ্যেষ্ঠ দুই সাংবাদিক। গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকার কারণে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন হুমকির মুখে পড়েছে এবং পরিবারের সদস্যরা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়া সদর থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন বগুড়া শহরের বাদুড়তলা এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রানা মিয়া। গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিক বকুল হোসেনকে ৪৬ নম্বর আসামি করা হয়।

এর আগে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ১৬ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় ১০১জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা সেকেন্দার আলী। বগুড়া শহরের সাতমাথায় স্টেশন সড়কে গত ৪ আগস্ট হামলা করে শিক্ষক হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিক ফিরোজ কামাল ফারুককে ৭৬ নম্বর আসামি করা হয়। এছাড়া নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটরা ইউনিয়ন বিএনপির সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মামলা করেন মাটিহাস গ্রামের আক্কেল আলী মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ১১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেই মামলায় সাংবাদিক ফিরোজ কামাল ফারুক ৫ নম্বর আসামি। তার বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে। 

সাংবাদিক ফিরোজ কামাল ফারুক বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তার নন্দীগ্রাম রহমান-নগরের বাসায় হামলা হয়। এরপর থেকেই নিরাপত্তার কারণে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। মামলায় ফাঁসানো, নিরাপত্তা শঙ্কাসহ নানা কারণে তার পেশাগত দায়িত্ব পালন হুমকির মুখে পড়েছে।

পেশাগত বিরোধ ও সংবাদ প্রকাশের জেরধরে মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে তার অভিযোগ। 

এ প্রসঙ্গে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা জানান, নিরপরাধ কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানি না হন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। মামলার পর তদন্ত করে আসামিদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!