থিঙ্ক ট্রেড, থিঙ্ক গ্রিন: কমনওয়েলথ ইনোভেটিভ ইয়ুথ অ্যাসে অ্যাওয়ার্ড ২০২৪: কমনওয়েলথ উদ্ভাবনী যুব প্রবন্ধ লিখে ৩য় স্থান পেয়ে পাইকগাছার মো. জসীম হাওলাদার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। আগামী মাসের ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর সামোয়াতে কমনওয়েলথ ইয়ুথ ফোরামে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কমনওয়েলথ ভুক্ত ৫৬ টি দেশের মধ্যে ১৮থেকে ২৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রেরিত হাজারো লেখার মধ্যে মো. জসীম হাওলাদারের লেখাটি তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
মো. জসীম হাওলাদার জানান, ২০২৪ সালের কমনওয়েলথ যুব রচনা প্রতিযোগিতার সমাপ্তির পরে দেশের জলবায়ু সংকট মোকাবেলা করতে বাণিজ্য ও নীতি কী উপায়ে সাহায্য করতে পারে এর উপর প্রবন্ধ ও রচনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সেই সাথে এটি কীভাবে জলবায়ু সংকটের সাথে যুক্ত তা ব্যাখ্যা করাসহ এটিকে মোকাবেলায় বাণিজ্য বা বাণিজ্য নীতি কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে মনোনিত হন তিনি। মো. জসীম হাওলাদার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউপির হানি গ্ৰামের মৃত কালাম হাওলাদারের পুত্র। তিনি ২০১৬ সালে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দির স্কুল কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে জিপিএ ৫ ও ২০১৮ সালে একই বিভাগে সরকারি এম. এম. সিটি কলেজ, খুলনা থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। একই বছর বিশ্বিবদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ব্যবস্থাপনা বিভাগে চান্স পায়। সেখান থেকে বিবিএ (স্নাতক) শেষ করে বর্তমানে এমবিএ (স্নাতকোত্তর) পর্যায়ে অধ্যয়নরত আছে। মোঃ জসীম হাওলাদার লেখাপড়ার পাশাপাশি শখের বসে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে।
তিনি জানান, লেখা পড়ার পাশাপাশি জলবায়ু সংকট ও আমাদের পাইকগাছা -কয়রা মানুষের দুর্দশা লাগবে কাজ করার ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা লিখেছি।
তিনি বলেন, এই বিজয় আমার নয়, এই বিজয় বাংলাদেশের। দেশের জন্য নিয়োজিত থেকে কাজ করবেন বলে তিনি জানান। মো. জসীম হাওলাদার বর্তমান লতা ইউনিয়ন যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান ও কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :