ঢাকা সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন

অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না আহত রিকশা চালক মহুবারের

হাসানুজ্জামান হাসান, কালীগঞ্জ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না আহত রিকশা চালক মহুবারের

পুলিশের গুলিতে আহত রিকশা চালক মহুবার । ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত রিকশা চালক মহুবার অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছেনা। মহুবার রহমানকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। এ অবস্থায় চিকিৎসার জন্য অন্তবর্তী কালীন সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তার পরিবার।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বিছনদই গ্রামের নিজ বাড়ীতে নিজেদের অসহায়ত্বের এসব কথা বলেন মহুবার।

কোটা সংস্কারের আন্দোলন করতে গিয়ে ডান পায়ের হাটু, বুকের ডান পাশে ও পিঠে গুলি ভেদ করে যায় মহুবারের। আন্দোলন সফল হলেও আহত হয়ে অর্থের অভাবে সুচিকিৎসা করতে না পেরে তাঁকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। টাকার যোগান করতে না পেরে চিকিৎসা না নিয়ে গত ১৭ আগস্ট হাসপাতাল থেকে হাতীবান্ধার উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব বিছনদই গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে মহুবারকে।

মহুবার বলেন, গত ২১ জুলাই বিকেলে শনীর আকড়া যাত্রাবাড়ি এলাকায় আন্দোলনে ছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সদস্যরা অস্ত্র হাতে আন্দোলনকারীদের ওপর মুহুর্মুহু গুলি চালায়। আর আমরা ইট পাটকেল ছুড়ে তাদেরকে প্রতিহতের চেষ্টা করতে থাকি। মিছিলের সামনে থাকা প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় আমার বুকের ডান পায়ের পাশে গুলি ঢুকে যায়। এতে আমি অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। গুরুত্বর আহত অবস্থায় অন্যান্য আন্দোলনকারীরা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে রয়েল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি নিরুপায় হয়ে বাড়িতে চলে আসি।

মহুবারের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, আমার যতটুকু সামর্থ ছিলো, তা দিয়ে স্বামীর চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে আমার আর সামর্থ্য নাই। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আমার আকুল আবেদন আমার স্বামীর মত যারা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে বা বাড়িতে কাতরাচ্ছে তাদের যেন সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।আমার স্বামী খুব কষ্টে আছে। প্রতিদিন অনেক টাকার ওষুধ লাগে। টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন বাড়িতে চিকিৎসা অভাবে পরে আছে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রুবেল বলেন,আমি হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজ সেবা অফিসার এবং কেন্দ্রীয় সন্বনয়কের সাথে যোগাযোগ করেছি।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এ খবর আমার জানা ছিলো না। আপনাদে মাধ্যেমে জানলাম। আমি খোজ খবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করব। 

আরবি/জেডআর

Link copied!