ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

রামনাথপুরের দেড় শতাধিক মানুষ পানিবন্দি

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৪:৩১ এএম

রামনাথপুরের দেড় শতাধিক মানুষ পানিবন্দি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির পার রামনাথপুর গ্রামের দেড় শতাধিক  মানুষ গবাদি পশু নিয়ে পানিবন্দি রয়েছে। স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি লক্ষে জনৈক সোহাগ ও কামরুল বাঁধ দিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনগণ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছে ‌।

জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউপির রামনাথপুর মৌজায় পার রামনাথপুর গ্রাম। এ গ্রামটিতে দেড় শতাধিক ভুমিহীন মানুষ সরকারের নিকট থেকে খাস জমির বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন বসবাস করছে। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। গত ১০ দিন বৃষ্টিতে তলিয়ে আছে। নেই সেখানে ত্রান বা কোন প্রকার সাহায্য। মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। তাদের কেউ খোঁজ রাখে না। কারন তারা ভূমিহীন। আর এ জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী করছে পার্শ্ববর্তী দরগাহমহল গ্রামের মৃত জামাল হোসেন খন্দকারের ছেলে সোহাগ ও কামরুলকে। তারা তাদের জমি দাবি করে বাঁধ দেয়ার ফলে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি। যে কারণে দু শতাধিক জমিতে লাগানো আমন ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে স্হানীয়রা পাইকগাছা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর অভিযোগ করলে কোন সূরহা হয়নি। এখন এ সব ভূমিহীনরা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, তপন বিশ্বাস, সঞ্জয় দাশ, মজিদ মোড়ল, সুকুমার,শেখর, মঙ্গল গাইন, রোকেয়া বেগম, চপলা বিশ্বাসসহ শতাধিক ভুক্তভোগী রা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভূমিহীন তাই দরগাহ মহল গ্রামের সোহাগ ও কামরুল নদীর জমি তাদের দাবি করে বাঁধ দেয়ার ফলে আমরা আজ জলাবদ্ধতার স্বীকার। যে কারণে দু শতাধিক বিঘা জমির আমন ধান নষ্ট। গবাদিপশু আজ না খেয়ে মৃত্যুর মুখে। আমরা শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে আছি। আমরা কোন ত্রান ও সাহায্য পাইনি। আমরা প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। অভিযুক্ত সোহাগ ও কামরুল এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আরবি/জেডআর

Link copied!