ছাত্রলীগ নেতা শামীম হত্যা গাজীপুর থেকে আরেক আসামি গ্রেপ্তার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ  গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। আশুলিয়া থানা পুলিশ রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত হলেন, গাজীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ সালানা আরালিয়া গ্রামের মাহমুদুল হাসান ওরফে রায়হানা (২০)। গ্রেপ্তার হওয়া মাহমুদুল হাসান রায়হান ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলে থাকতেন।

গাজীপুরের হোতাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাভারের আশুলিয়া থানা পুলিশ শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার সালনা এলাকায় অভিযান চালায়। গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সালনার আরালিয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে রোববার ভোর আনুমানিক ৫ টার দিকে শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে সাভারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, শামীম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি মাহমুদুল হাসান রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরের দিকে তাকে আদালতে নেওয়া হবে তাকে। সেখানে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

নিহত শামীম মোল্লা সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে তিনি মাস্টার্স পাস করেন।

গত বুধবার বিকেল থেকে কয়েক দফা মারধরের ঘটনায় নিহত হন শামীম মোল্লা। তিনি সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। শামীম মোল্লা জাবির ৩৯ ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।

ওই ঘটনায় জাবির আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে জাবি প্রশাসন। এছাড়া পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।