ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পদত্যাগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন আনন্দ মিছিলে যোগ দেয় স্কুলছাত্র রাতুল। মিছিল লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে স্কুলছাত্র। টানা ৪৭দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেই রাতুল মারা গেছে।
সোমবার দুপুর ১২টার পর স্কুলছাত্রের মরদেহ জানাজা নামাজের জন্য রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে নেওয়া হয়। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানী ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবার। রাতুল (১৫) বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে বগুড়া শহরের ঘোনপাড়া এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের পুত্র।
পরিবারের দাবি, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর খবর শুনে ওইদিন বিকেলে আনন্দ মিছিল বের হয়। পাড়ার ছেলেদের সাথে আনন্দ মিছিলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হয় রাতুল। বিকেল ৪টার পর আনন্দ মিছিল বগুড়া সদর থানার দিকে যায়। সে সময় ছাত্র-জনতার দিকে গুলিবর্ষণ করে পুলিশ। গুলি এসে রাতুলের মাথায় লাগলে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তর করেন স্বজনরা। সেখানে দেড় মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসা শেষে রোববার রাতে রাতুল মারা যায়।
স্বজনরা জানান, সোমবার দুপুর ১২টার পর হাসপাতাল থেকে রাতুলের মরদেহ জানাজার জন্য রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজা নামাজ শেষে রাতুলের মরদেহ বগুড়া শহরের ঘোনপাড়ার নিজ বাড়িতে নেওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :