ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নীলফামারীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হুমকি

নীলফামারী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

নীলফামারীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হুমকি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নীলফামারী সদর উপজেলার  রামগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানার পদত্যাগের দাবিতে প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিল শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ করায় বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ের গেলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‍‍` সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আমরা বিক্ষোভ করার পর কিছু বহিরাগত লোক স্কুলে প্রবেশ করে। তারা এসেই আমরা যাতে আর কোনো আন্দোলন না করি সে জন্য হুমকি দেয়। ওই সময় ইয়াসমিন ম্যাডাম ছাড়া কোনো শিক্ষক ছিল না। তারা নামাজে ছিল। আর আমাদের সিনিয়র ভাইরা ইউএনও কে অভিযোগ দিতে গিয়েছিল সেসময়। আর সেই সুযোগে ইয়াসমিন ম্যাডামের সহযোগি বহিরাগতরা এসে হুমকি দেয়। ওই সময় ম্যাডাম আমাদের সামনে থাকলেও তিনি কোনো প্রতিবাদ করেন নি। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম।‍‍`

জানা যায় ওই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আশরাফুল হককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও বিদায়ী প্রধান শিক্ষকের কার সাজিতে সম্পূর্ণ গোপন বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুল বন্ধ কালীন সময়ে আওয়ামীলীগ নেত্রী ইয়াসমিন সুলতানাকে জ্যোষ্ঠতা‌ লঙ্ঘন করে মোটা টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এনিয়ে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় আশংকা রয়েছে।  বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে সহকারী প্রধানের নিয়োগের বিষয়টি তদন্ত করে তাকে অপসারণ ও দ্রুততম সময় প্রধান শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ এবং একজন জ্যোষ্ঠ শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান করে বিদ্যালয়ের কার্যক্রমে পরিচালনার জোর দাবী জানানো হয়।

এ বিষয়ে রামগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানা বলেন,‍‍`যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা। আমি প্রতিষ্ঠানে থাকা অবস্থায় প্রতিষ্ঠানের ভিতরে এসে বহিরাগত কেউ কোনো ধরনের হুমকি দেয় নি। আর নিয়োগ পরীক্ষা সবার‌ সম্মুখে হয়েছে। আমি পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে উত্তীর্ণ হয়েছি‌।‍‍`

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হক বলেন,‍‍`তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।‍‍`

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!