নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা শফি উদ্দিনের বিরুদ্ধে অসহায় এক ব্যক্তির জমি পূনরায় দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা নিউ টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আ.লীগ সরকার ক্ষমতাকালে শুধু জমি দখল নয় দোকানপাট দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে আ`লীগ নেতা শফিউদ্দিন ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের নিউ টাউন এলাকায় চর রমজান সোনাউল্লাহ মৌজায় ৩.৫০ শতাংশ জায়গা ক্রয় করেন তমিজ উদ্দিনের জামাতা মোঃ মামুন মিয়া। কিন্তু আ`লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শফি উদ্দিন ওই জমির অন্য একজন অংশিদার থেকে ৬ ভাগের ১ ভাগ ক্রয় করে পুরো জমি জোড়পূর্বক দখল করে প্রায় ১৬ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বকভাবে পুরো জমি দখলে নেন আওয়ামী নেতা শফি উদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন দুই ইউপি সদস্য সেলিম রেজা ও আব্দুল হালিম জমির কাগজ দেখে বলেন জমির প্রকৃত মালিক মামুন।
এ বিষয়ে শফি উদ্দিনকে একাধিকবার কাগজপত্র নিয়ে বসার তাগিদ দিলেও সে বসতে রাজি হননি। শুধু তাই নয় তার বিরুদ্ধে উপজেলার মেঘনা নিউ টাউন মসজিদ সংলগ্ন সকল দোকান থেকে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। তার সিন্ডিকেটে স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী ছিলো। কোনো রকম প্রতিবাদ করলেই তার টর্চার সেলে নির্যাতন করতো এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করতো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সোনারগাঁয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আ`লীগ ও ছাত্রদের সংঘর্ষের সময় কাঁচপুরে জনি নামক এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। সেই মামলার অন্যতম আসামি হচ্ছেন এ আ`লীগ নেতা শফিউদ্দিন। এছাড়াও সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সে আ`লীগ সরকারের ক্ষমতা দেখিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাট করেই ক্ষান্ত হয়নি। জোরপূর্বকভাবে স্থানীয় কবরস্থান ও ঈদগাঁয়ের সভাপতি দাবী করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
সরকার পতনের পর স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে কাগজপত্র দেখিয়ে তাদের সহমতে তার নিজের জায়গার দখলত্ব বুজে নেন। কিন্তু হত্যা মামলার আসামী আওয়ামী এ নেতা বিভিন্নভাবে এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ভূল বুঝিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে পূনরায় দখলের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মামুন।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শফি উদ্দিনের দাবি, দখলকৃত জমি তার ক্রয়কৃত। সরকার পতনের পর হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় সে আত্মগোপনে চলে যান। এই সুযোগে মামুন স্থানীয়দের নিয়ে তার জায়গা দখল করেছেন।
ভুক্তভোগী মামুন বলেন, কাগজপত্রে তিনি সাড়ে তিন শতাংশের মালিক। তার জমি তিনি দখলে নিয়েছেন। তবে বেশি দখল করে থাকলে ছেড়ে দিবো।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, জমি দখলের বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-20241119120443.jpg)
আপনার মতামত লিখুন :