ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম ওরফে লাল শাহ আলম (৫০) কে বুধবার কালীদহ ইউনিয়নের পূর্ব ছিলোনীয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
তিনি ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় এজহারভূক্ত আসামী হন। এছাড়াও তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত ফেনীর লালপোল এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী ও মাদককারবারের অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর হামলা ও গুলি চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় অন্তত ৮ জন নিহত ও শতাধিক ছাত্রজনতা গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ছায়দুল হক নিহত হয়। পরে ১৪ আগস্ট নিহত ছায়দুল হকের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় শাহ আলম ওরফে লাল শাহ আলম ৬২ নং এজহার ভুক্ত আসামী রয়েছেন।
ফেনীস্থ র্যাব-৭ থেকে জানানো হয়, বুধবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালীদহ ইউনিয়নের পূর্ব ছিলোনীয় এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাল শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারকৃত হত্যা মামলার আসামী শাহ আলমকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করতে প্রস্তুুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :