ঢাকা শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন বাড়ি, ধানক্ষেতে পাওয়া গেল মরদেহ

বরগুনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০১:২০ পিএম

ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন বাড়ি, ধানক্ষেতে পাওয়া গেল মরদেহ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বরগুনার আমতলীতে আবুল কাসেম মোল্লা (২৩) নামের বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোড ও ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে ধানক্ষেতে ফেলে রেখে  দুর্বৃত্তরা। নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে থাকা নগদ, বিকাশ, ফ্লেক্সিলোডের টাকা এবং পটুয়াখালীর একটি ব্যাংক থেকে উঠানো ৬ লাখ টাকা ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত মধ্য রাতে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে। নিহত আবুল কাসেম মোল্লা একই গ্রামের নুর উদ্দিন মোল্লার ছেলে। 

নিহত ব্যবসায়ী বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় তাঁর খোঁজে নামলে বাড়ির কাছাকাছি একটি ধান ক্ষেতের পাশে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে স্বজন ও স্হানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবুল কাশেম বাড়ীর পাশে কলাগাছিয়া বাজারে ইলেকট্রনিক্স মালামাল বিক্রির পাশাপাশি বিকাশ, ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। 

প্রতিদিনের মত রাত ১০টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যাগের মধ্যে করে টাকা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। বাড়ীর কাছাকাছি পৌছলে সেখানে পূর্বে থেকেই ওৎপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তার পাশে রেখে ঘটনাস্হল থেকে দ্রুত কেটে পড়ে।

এ ব্যাপারে নিহতের মামাতো ভাই সাইদুল বলেন, তার ফুপু রাহিমা বেগম ছেলে কাশেম বাড়ি ফিরছে না দেখে ফোন করে এবং তার খোঁজ নিতে বলে। তিনি কলাগাছিয়া বাজারে কাসেমের দোকান বন্ধ দেখে বাজারের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে বাড়ির পথে খুঁজতে বের হয়। পথিমধ্যে বাড়ীর কাছাকাছি এসে রাস্তার পাশে ধান ক্ষেতের মধ্যে কাসেম কে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এসময় সে ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে কাসেমের উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেমকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।

নিহতের মামাতো ভাই সাইদুল বলেন আরো বলেন ঘটনা দিন কাশেম পটুয়াখালীর একটি  ব্যাংক থেকে টাকা তুলেছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর কাছে প্রায় প্রায় ৬ লাখের মতন টাকা ছিল। আমি আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই। যারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

এ বিষয়ে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ দেয় নাই। পটুয়াখালী সীমানা সংলগ্ন কলাগাছিয়া গ্রাম থাকায় নিহত ব্যক্তিকে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে যেহেতু তার মৃত্যু ঘোষণা হয়। এর কারণে ওখানেই তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!