ঢাকা শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৪

সাবেক এমপি মুকুল ও তার ভাই বিপ্লবসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম

সাবেক এমপি মুকুল ও তার ভাই বিপ্লবসহ ৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আলী আজম মুকুল ও তার ছোট ভাই মইনুল হোসেন বিপ্লব। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও তার ছোট ভাই মইনুল হোসেন বিপ্লবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিপ্লব সাবেক প্রভাবশালী মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের পালিত ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

সেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। আর আলী আজম মুকুল তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা। বুধবার (২ অক্টোবর) ভোলা সদর মডেল থানায় ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।

মো. জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে এ ফৌজদারি মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, ভোলা-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হাফিজ ইব্রাহিম গত ২৮ আগস্ট ২০২২ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য ভোলা থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যাওয়ার পথে ভোলা শহরের যুগীরঘোল এলাকায় ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের সন্ত্রাসী দ্বারা বাঁধাগ্রস্থ হয়ে উকিল পাড়া হোটেল প্যাপিলিয়নে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল ও তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম নকীবের নেতৃত্বে উশৃংখল নেতাকর্মীরা হাফিজ ইব্রাহিমকে হোটেলে অবরুদ্ধ করে রেখে হোটেলে গুলী বর্ষন, ককটেলসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে হোটেলের গেট খুলে না দেয়ায় সিকিউরিটি গার্ড জহিরুল ইসলামকে মারধর করে বেঁধে রাখে।

তারা হাফিজ ইব্রাহিমকে হোটেল থেকে বের করে না দিলে হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ারও হুমকি দেয় এবং হাফিজ ইব্রাহিমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এ ঘটনায় প্রশাসনের লোকজন এসে জহিরুলকে উদ্ধার করে এবং হাফিজ ইব্রাহিমকে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে ভোলা জেলা ত্যাগ করার অনুরোধ করে। প্রশাসনের অনুরোধে ও নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুলিশ প্রহরায় তারা হোটেল থেকে ইলিশা লঞ্চ ঘাটে যাওয়ার পথে পূনরায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙ্গে গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ বোমা ও গুলি ছোঁরে। এতে সফরসঙ্গী মোসলেউদ্দিন ও জসিম খাঁসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করতে গেলে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ভোলা কোর্টে মামলা দায়ের করতে গেলে তৎকালীন পিপির বিরোধিতায় মামলাটি আমলে নেয়নি আদালত।

গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২ অক্টোবর সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল ও তার ভাই দলের প্রভাবশালী এ নেতা মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামী করে হাফিজ ইব্রাহিমের সফরসঙ্গী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মালাটি দায়ের করে।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটোয়ারী খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!