ঢাকা সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪

আবরারের মায়ের দাবি সব আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

আবরারের মায়ের দাবি সব আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। আবরারে মা বলেন, আবরার সব সময় দেশের ভালোর জন্য লিখতেন। দেশ নিয়ে ভাবতেন। দেশের স্বার্থে ভালো কিছু লিখেই তিনি একটি দলের কাছে শত্রু হয়ে গিয়েছিলেন। হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আসামিদের ফাঁসি হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক রয়েছে। সব আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের জোর দাবি জানাই। আবরারের মা রোকেয়া খাতুন আরো বলেন, পাঁচ বছর আগে ছাত্রলীগের ছেলেরা ডেকে রাতভোর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। আমার ছেলে বেঁচে থাকত তাহলে চাকরি করত। ছেলের আম্মু আম্মু ডাক এখনো কানে বাজে। ভুলতে পারি না। তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেটা মনে হলে শিউরে উঠি। ছেলে বুয়েটে যে বিছানায় থাকত। সেখান থেকে সবকিছু জিনিসপত্র নিয়ে আসা হয়েছে। শোকেসের ভেতর হাতঘড়ি থেকে শুরু করে ব্যাগ বইপত্র, আইডিকার্ডসহ আরও অনেক কিছু রাখা।

জানা গেছে, আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। রাত ১০টা থেকে একটানা রাত ২টা পর্যন্ত আবরারকে শিবির সন্দেহে পেটানো হয়। ক্রিকেট স্ট্যাম্প, স্কিপিং দড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। কিলঘুষি, লাথিও মারা হয়। রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডর থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

ফেসবুকে যে পোস্ট আবরারের মৃত্যুর কারণ : 

১. ৪৭ এ দেশভাগের পর দেশের পশ্চিমাংশেে কোন সমুদ্রবন্দর ছিল না। তৎকালীন সরকার ৬ মাসের জন্য কলকাতা বন্দর ব্যবহারের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ  করল। কিন্তু দাদারা নিজেদের রাস্তা নিজেদের মাপার পরামর্শ দিছিলো। বাধ্য হয়ে দুর্ভিক্ষ দমনে  উদ্বোধনের আগেই  মংলা বন্দর খুলে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ ইন্ডিয়াকে সে মংলা বন্দর  ব্যবহারের জন্য হাত পাততে হচ্ছে।

২. কাবেরি নদীর পানি ছাড়াছাড়ি নিয়ে কানাড়ি আর তামিলদের কামড়াকামড়ি  কয়েকবছর আগে শিরোনাম হয়েছিল। যে দেশের এক রাজ্যই অন্যকে পানি দিতে চাই না সেখানে  আমরা বিনিময় ছাড়া দিনে দেড়লাখ কিউবিক মিটার পানি দিব। 

৩. কয়েকবছর আগে নিজেদের সম্পদ রক্ষার দোহাই দিয়ে  উত্তরভারত কয়লা-পাথর রপ্তানি বন্ধ করেছে অথচ আমরা তাদের গ্যাস দিব। যেখানে গ্যাসের অভাবে নিজেদের কারখানা বন্ধ করা লাগে সেখানে নিজের সম্পদ দিয়ে বন্ধুর বাতি জ্বালাব। 

আরবি/জেডআর

Link copied!