ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

বাঙ্গালী নদীতে তীব্র ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাঙ্গালী নদীতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের চরমাছির পাড়া গ্রামে বাঙ্গালী নদী ভাঙ্গনে গাছপালা, ঘরবাড়ী, ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে পরেছে, চরমাছির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন চরমাছির পাড়া গ্রামের মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন থেকে বাঙ্গালী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাইলের বাড়ী থেকে মেরুর বাড়ী পর্যন্ত বাঙ্গালী নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। যমুনা নদীর মতো বাঙ্গালী নদীকে সকরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতো তাহলে আমাদের গত কয়েক বছরে বাঙ্গালী নদী ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী, ফসলি জমি, গাছপালা, নদী গর্ভে বিলীন হতো না। এ বর্ষার মৌসুমে বাঙ্গালী নদীতে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। নদী ভাঙ্গন শুরু হলেও এখন পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।  

স্থানীয়রা আরো বলেন, ভাঙ্গন রোধে বস্তাও যদি ফেলা হতো তাহলে কিছুটা হলেও নদীভাঙ্গন বন্ধ হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের গ্রামটি অবোহেলিত হওয়ায় উন্নয়ন মূলক কোন কাজ চোখে পরে না। আমরা কাকে দোষ দিবো, দোষটা আসলে আমাদের কপালের। যার জন্য এলাকা মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষেত্রে নেমে এসেছে চরম দূর্বিসহ অবস্থা। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন বাঙ্গালী নদী ভাঙ্গনের একটি স্থায়ী বাবস্থা গ্রহন করেন।

এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক মুঠো ফোনে জানান, বাঙ্গালী নদীতে মাছির পাড়াসহ ৮টা পয়েন্ট ভাঙ্গন প্রবন আছে। আমরা সার্ভে করে পানি কমার সাথে সাথে সেনাবাহিনী জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রক্ষার  কাজ করে দিবে। আশা করছি নভেম্বর ডিসেম্বর থেকেই কাজ শুরু হবে।

এ ব্যাপারে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার রহমান বলেন, আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করব। আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহন করব।