উল্লাপাড়ার মুক্তাহার নদীর পাশে ১৯৪৭ সালে ৯০ শতক জমির উপর নির্মিত হয়েছে পূর্বদেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। কিন্তু নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে বিদ্যালয়টির মূল ভবন। ইতোমধ্যে বৃষ্টি ও বর্ষার কারণে বিদ্যালয়টির প্রায় ৩০ শতাংশ জমি ভেঙ্গে গেছে। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন যাবৎ নদী ভাঙন থেকে স্কুলটি বাঁচাতে গাইডওয়াল নির্মাণের দাবি জানালেও তা এখনও পূরণ হয়নি। বর্তমানে স্কুলের দ্বিতল ভবনের একেবারে নিকটে চলে এসেছে নদী।
পূর্বদেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দাতা সদস্য মোঃ আবুল হাশেম জানান, তার বাবার দানকৃত ৯০ শতক জায়গার উপর স্কুলটি নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে নদী ভাঙনে অন্তত ৩০ শতক জায়গা নদীগর্ভে চলে গেছে। স্কুলটি সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য গাইডওয়াল নির্মাণের দাবি জানানো হলেও এই দাবি এখনো পূরণ হয়নি। খেলার মাঠের শিক্ষার্থীদের শরীরচর্চা ও খেলার মাঠের আয়তন কমে গেছে। এতে খেলাধুলা ব্যহত হচ্ছে। নদী ভাঙন রোধ করা না গেলে বিদ্যালয়টি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তার দাবি এই বিদ্যালয় বাঁচাতে নদীর পাশে দ্রুত গাইডওয়াল নির্মাণ করা হোক।
পূর্বদেলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহেলা খাতুন জানান, প্রতি বছর বন্যায় ভাঙনের কবলে স্কুলের মাঠ নদীতে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে ভাঙন দ্বিতল ভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে। এটি রোধ না করা গেলে হুমকির মুখে পড়বে ভবনটি। তিনি আরো জাননা, প্রতি মাসে শিক্ষা অফিস থেকে পরিদর্শন করলেও ভাঙনের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেননি।
উল্লাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার সানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তাদের কাছে বর্তমানে কোন বরাদ্দ নেই। ভেঙ্গে যাওয়ার মাঠটি ভরাসহ গাইডওয়াল নির্মানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন এই কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত জানান, বৃষ্টি কমে গেলে বিদ্যালয়টির মাঠ ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধেও ব্যবস্থা নেবেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মোঃ মোকলেছুর রহমান জানান, বিষয়টি জানা নেই। তবে দ্রুত লোক পাঠিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।