ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

কাপ্তাইয়ে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান ও সিএনজি, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৩:৪৯ পিএম

কাপ্তাইয়ে আগুনে পুড়ল ৮ দোকান ও সিএনজি, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের বরইছড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। যাতে ৮টি দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সেই সাথে আগুনে পুড়ে দোকানের সামনে থাকা একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা সিএনজি ভস্মীভূত হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা।

এ সময় আগুনে পুড়ে মো. তাহেদুল ইসলামের শরীফ ফার্মেসি, সুলতান মাহমুদের গাড়ির ওয়ার্কশপ ও চাকার দোকান, আব্দুর রহিমের চা দোকান, মোস্তাফিজুর রহমান মুন্নার এম কে এন্টারপ্রাইজ (কম্পিউটার দোকান), মো. ইব্রাহিমের ঊর্মি টেইলার্স, আব্দুর রহমানের রহমান কম্পিউটার, সাদ্দাম হোসেনের সাদ্দাম স্টোর (মুদি দোকান) এবং মো. রানার, রানার ফার্নিচারের দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এছাড়া দোকানের সামনে পার্কিংরত অবস্থায় থাকা রাইখালী নিবাসী অনুতোষ দের একটা সিএনজি পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
বৃহস্পতিবার ভোর ৩টার দিকে আগুন লাগে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা সদরে অবস্থিত খাবারের দোকান লুমিনাস জোনের কারিগর রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, আমি রাতে দোকানে ছিলাম। হঠাৎ কিছু শব্দ শুনতে পাই, দোকান খুলে দেখি আমাদের খাবারের দোকানের বিপরীতে দোকানে আগুন লেগেছে। এ সময় কেউ ছিল না, আমি দোকান থেকে বের হয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নিভাতে বালতি নিয়ে পানি ছিটাই। সাথে সাথে থানার ওসি স্যারের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্য ও ইউএনও স্যার ঘটনাস্থলে আসেন।

সিএনজি চালক মামুন বলেন, আমার বাসার সামনে দোকানে সিএনজি গাড়িটি রাতে সবসময় রাখি। এটি পুড়ে আর কিছু রইল না।

ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ বলেন, আমার টায়ার, মুবিল এবং পার্টস এর দোকানে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে আমার।

কম্পিউটার দোকান এম কে এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোস্তাফিজুর রহমান মুন্না বলেন, আমার নতুন ফটোকপি মেশিন, ২ টি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মেশিনারি পার্টস সহ অনেক কিছু পুড়ে গেছে।

মুদির দোকান সাদ্দাম স্টোর এর মালিক মো: সাদ্দাম ও চায়ের দোকানের মালিক আব্দুর রহিম বলেন, রাত  ৩টার পরে আগুন লেগে এখানে ৮ টি দোকান এবং ১ টি সিএনজি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সব কিছু মিলে আমাদের প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

এদিকে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার পর পরই রাত সাড়ে ৩টার দিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন এবং কাপ্তাই থানার ওসি মো মাসুদের নেতৃত্বে থানায় অবস্থানরত সকল অফিসার এবং পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।

এরপরই ভোর সাড়ে ৪টায় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে  ফায়ার সার্ভিসের ১টা ইউনিট ২টি গাড়ি এবং ১৫ জন সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় ভোর ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনলেও ৮টি দোকানে থাকা সব মালামাল আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং একটি দোকানের সামনে থাকা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ভস্মীভূত হয়।

কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ভোর সাড়ে ৪টায় ১টি ইউনিট এর ২টি গাড়ি সহ ১৫ জন সদস্য গিয়ে প্রায় ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিক ভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুন লাগতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

আরবি/এফআই

Link copied!