ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল

রোগীর চাপ ও বিদ্যুৎ সঙ্কটে শিশু সেবা ব্যহত

জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে অতিরিক্ত রোগীর চাপ ও  বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে ব্যহত হচ্ছে শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা। গত ৫ অক্টোবর হাসপাতালের ১টি  ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় কারনে একটানা কয়েকদিন বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে আগত রোগী ও সেবাদানকারীরা।

জানা যায়, ২৫০ শয্যা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়মিত রোগীর সংখ্যা থাকে আসনের চেয়ে কয়েকগুন। তন্মধ্যে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে শিশু ওয়ার্ডে। রোগীর সংখ্যা বেশি থাকায় রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত ডাক্তার-নার্সরা। এর উপরে নতুন করে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের ভোগান্তি।

শিশু ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত রোগীর স্বজনরা জানান, ৫ অক্টোবর থেকে একটানা কয়েকদিন বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ থাকায় তারা চিকিৎসাসেবা নিতে চরম বিপাকে পড়ে। বিশেষ করে শিশু ওয়ার্ডে সেবা নিতে আসা শিশু রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিদ্যুত সঙ্কটে নেবুলাইজার, ইনকিবিউটরসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঝুকিঁতে পড়ে হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিশুরা।

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে রাত্রি যাপন করার মতো কোন অবস্থা নেই। একানে এত রোগী যে, রোগীর জন্য বিছানা তো দূরের কথা রোগী দাঁড়িয়ে থাকারও জায়গা নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিশু ওয়ার্ডের এক ওয়ার্ডবয় বলেন, রোগীর তুলনায় প্রয়োজন অনুপাতে ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা কম হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক সময় সেবা না পেয়ে সেবাদানকারীদের উপড় চড়াও হন রোগীর স্বজনরা। শুধু তাই নয় প্রায়ই অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও ঘটে।

হাসপাতালের দেওয়া তথ্যমতে, ২৫০ শয্যার জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে দৈনিক অন্ত বিভাগের রোগীর  রিপোর্ট অনুযায়ী (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার ২৫০ জন রোগীর পরিবর্তে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬১৬ জন। এরমধ্যে শুধুমাত্র শিশু ওয়ার্ডে ২৪ টি বিছানার পরিবর্তে রোগীর সংখ্যা ২১০ জন।

হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান জানান, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বিছানার তুলনায় সর্বদা রোগীর সংখ্যা কয়েকগুন থাকে। এর উপরে বিদ্যুতের সংকটে পড়ে রোগীসহ হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভোগান্তিতে আছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় কোন শিশুর চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে শিশুদের জন্য যে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র রয়েছে সেখানে আশংকাজনক রোগীরা চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। সেখানে প্রতিনিয়ত দুই একজন শিশু রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এটা স্বাভাবিক বিষয়। বিদ্যুৎ এর পরিবর্তে সেখানে আইপিএস এর ব্যবস্থা আছে। তবে যে কয়েকদিন বিদ্যুৎ ছিল না সেসময় যদি কোন শিশুর মৃত্যু হয়ে থাকে এবং কেউ যদি অভিযোগ করে  তবে কি কারণে তার মৃত্যু হলো তা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।