শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

তিস্তার স্রোতে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৩ শতাধিক পরিবার

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

তিস্তার স্রোতে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৩ শতাধিক পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা পানির স্রোতে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাসহ অন্তত ৩ শতাধিক পরিবার।

সাম্প্রতিক বন্যায় উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া এলাকায় ২ কিলোমিটার সড়কটির ৩০ মিটার অংশ ভাঙনের কবলে পড়ে।

এতে ওই ইউনিয়নের কেল্লাপাড়া আশ্রয়ন প্রকল্পসহ তিস্তাপাড়ের ২ হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াতের চরম কষ্টে পড়েছেন। সড়কের এই ভাঙা অংশ দিয়ে তিস্তা নদীর পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

বাসিন্দারা বলছেন, দ্রুত ভেঙে যাওয়া সড়ক মেরামত না করলে তিস্তার জোয়ারের পানিতে  ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সরজমেিন কেল্লাপাড়া এলাকায় গেলে দেখা যায়, সড়ক ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কের ভাঙ্গা অংশ হতে এক কিলোমিটার পশ্চিমে তিস্তা নদী। নদীর ডানতীরে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি ঘর, বন্যা আশ্রয়ন কেন্দ্র, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত ৩ শতাধিক পরিবারের বাস।

আশ্রয়ন প্রকল্প ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তারা সড়কটি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় হাট ও উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। দুই মাস আগে তিস্তার স্রোতে সড়কটির ভেঙে গেছে। এতে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এদিকে নদীর পানির সঙ্গে বালু এসে আবাদি জমিতে জমাট বাঁধছে। এ কারণে অনেক আবাদি জমি ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কেল্লাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটি কাঁচা হলেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারে। ভেঙে যাওয়ায় এখন কোনো যানবাহন চলাচল বন্ধ। এতে চরের কৃষি পন্য আনা-নেওয়ায় পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হচ্ছে। এতে ফসল উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এলাকাটি তিস্তা নদীর ভাঙন হুমকিতে পড়েছে বলেন তিনি।

আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা বানেছা বেগম বলেন, যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি ভেঙে পানিতে ডুবে আছে। ফলে শিশুরা স্কুলে যেতে পারেছে না। নদীর পানি হটাৎ বৃদ্ধি পেলে তিস্তায় ভেসে যেতে হবে বলেন তিনি । 

একই গ্রামের অটোভ্যান চালক রুবেল হোসেন বলেন, এই  গ্রামে অর্ধশতাধিক অটোভ্যানের চর এলাকায় পন্যপরিবহনের জন্য  ট্রলিগাড়ি রয়েছে। রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ।

এ বিষয়ে ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী বলেন, তিস্তার পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে গেছে। সড়কের ভেঙে যাওয়া অংশ পরিদর্শন করেছি। তবে বরাদ্দ না থাকায় মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বরাদ্দ পেলে ও পানি নেমে গেলে সড়কটি মেরামত করা হবে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, সড়কের ভাঙ্গা অংশ পরিদর্শন করে মেরামতের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!