রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়নের সীতা ঘাটে অবস্থিত মা সীতা দেবী মন্দির এবং মন্দিরের পাশে অবস্থিত প্রতিবেশী এনামুল হক বাচ্চু, টিটু মারমা ও জামালের বাগানে হাতির আক্রমণে মন্দিরে বাড়িঘর ও বাগানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পযন্ত ৩টি হাতি মন্দির এবং মন্দিরের পাশে বাড়িরঘর ও বাগান লন্ডভন্ড করেন দেয় বলে জানান,মন্দিরের অধ্যক্ষ জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ। তিনি জানান, রাত ২ টায় হাতির দলটি এসে মন্দিরের আশ-পাশের বাড়িঘর ভেঙে ফেলে। এছাড়াও মন্দিরের ২০টি বড়ইগাছ,৬টি নারিকেল গাছ,মোটর ও ডিপ টিউবওয়েল ভেঙে তছনছ করে ফেলে। হাতির আক্রমনে মন্দিরে একজন গুরু আঘাতপ্রা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা প্রাণভয়ে কেউ বের হকে সাহস পাচ্ছি না।
কৃষক এনামুল হক বাচ্চু বলেন, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে প্রথমে হাতির দলটি মন্দিরে এসে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এরপর ভোর ৬টা পর্যন্ত হাতির দলটি অবস্থান নেন মন্দিরের আশ-পাশে। পওে হাতির পালটি আমাদের তিনজনের বাগানে এসে নারিকেল গাছ, সুপারি গাছ, বড়ই গাছ, ভিয়েতনামের কলা গাছ,আম গাছ, শাকসবজিসহ বিভিন্ন জাতে ফসল নষ্ট করে দিয়ে যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার এ এস এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন,এমনিতেই দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। খাবারের সন্ধানে হাতি মানুষের বসতবাড়ি ও বাগানে হামলা করছে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ হাতির আবাসস্থল যাতে ধ্বংস না হয়, সেই জন্য ঐ সমস্ত এলাকায় বসতবাড়ি এবং কোন স্থাপনা নির্মাণ না করা জন্য আগেই নিষেধ করা হয়েছিল। এজন্য মানুষ আর হাতি এখন দ্বদ্ধ বাঁধছে। হাতির আবাসস্থলে মানুষ গিয়ে বাড়িঘর নির্মাণ করছে।