কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর শহরে দীর্ঘদিন ধরে চলমান যানজট সমস্যার অবসানে প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার (১৬ অক্টোবর) একটি বড় ধরনের অভিযান পরিচালিত হয়। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযানে প্রায় ২০০টি অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়।
চকরিয়া পৌর শহরের মহাসড়ক ও সংযোগ সড়কগুলোর আশেপাশে থাকা অবৈধ দোকানগুলোর কারণে নিত্যযাত্রী ও স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে তীব্র যানজটের সম্মুখীন হচ্ছিলেন। মাত্র ৫ মিনিটের পথ অতিক্রম করতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট, কখনো কখনো এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এমনকি জরুরি সেবার অ্যাম্বুলেন্সগুলোও এই যানজট থেকে রেহাই পাচ্ছিল না, যা জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অবশেষে স্থানীয়দের ক্রমাগত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে শহরের মহাসড়ক ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করে। অভিযানে অংশ নেন চকরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইরফান উদ্দীন, পৌর সচিব মাসউদ মোর্শেদসহ পুলিশ, সেনাবাহিনী, আনসার, সড়ক বিভাগ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
অভিযানের পর স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, মহাসড়ক থেকে ভাসমান দোকান সরিয়ে দেওয়ার ফলে যানজট কিছুটা কমবে। তবে তারা আরো দাবি করেন, শহরের প্রধান মহাসড়ক ও সংযোগ সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাস ও লেগুনার বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। স্থানীয়দের মতে, এগুলো উচ্ছেদ করা হলে শহরের যানজট কমবে এবং পৌরসভার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম জানান, "কেউ যদি আবার ফুটপাত দখল করে স্থাপনা তৈরি করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে।"
স্থানীয়দের আশাবাদ, প্রশাসনের এই ধারাবাহিক কার্যক্রম চকরিয়া পৌরশহরের যানজট সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধানে ভূমিকা রাখবে।