সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টেল ‘বার্তা২৪ ডটকম’র নওগাঁয় জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ওয়াহেদুর রহমান রকিকে প্রধান আসামি করে ১৯ জনের নামে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের শালুকার গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে ওয়াহেদুর রহমান রকি (২৭) ও তার ভাই রাজন (২২), একই গ্রামের আরিফ হোসেন (২৫), মুন্না দেওয়ান (২২), রাকিব (২৬), শাহজামান (২৫), নাঈম (২৩), নাহিদ (২৬), গ্রাম্য ডাক্তার ভুট্টুসহ রকি বাহিনীর অন্যান্য সদস্য।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নব মুসলিম অমিত হাসানের পরিবারকে বেশকিছু ধরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল হকের ছেলে ওয়াহেদুর রহমান রকির নেতৃত্বে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ওই এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন। এসময় রকিসহ তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে। শহিদুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি মারধর করে প্রায় তিন ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে অবস্থা খারাপ হবে দেখে সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে আগেই চলে আসেন।
সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সাথে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানিয়েছেন তারা।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।