ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ, ২০২৫

খাল খনন না করেই ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, আদালতে মামলা

এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম
ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লায় খাল খনন প্রকল্পের কাজ না করেই ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিন প্রকৌশলী, সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধিসহ ৪৮ জনের নামে ওই মামলা দায়েল করা হয়। এ ঘটনা জানাজানির পর কুমিল্লায় হইচই শুরু হয়েছে।

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুহম্মদ আখতার হোসাইন কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ নম্বর আমলি আদালতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) মামলার আবেদনটি করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, নাঙ্গলকোট ও আদর্শ সদর উপজেলায় ৪২টি খাল খননের জন্য ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। মামলার আসামিরা এসব খাল খনন না করে ওই টাকা আত্মসাৎ করেন। খাল খনন না করায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, আদর্শ সদর ও নাঙ্গলকোট উপজেলায় ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে গত ১৫ বছর ধরে এসব এলাকার ফসল চাষ করতে পারেননি মামলার বাদী, সাক্ষীসহ প্রায় ৩০ হাজার কৃষক। এতে তাদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ মামলায় কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রধান প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারদের আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার, সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন চক্রবর্তী, ছাত্রলীগ নেতা মাধব বৈষ্ণব, সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পিএস মিজানুর রহমান, কুমিল্লা মহানগর কৃষক লীগ নেতা জুনায়েদ শিকদার তপু ও প্রকল্প কাজে সংশ্লিষ্টদের আসামি করা হয়েছে।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আখতার হোসাইন বলেন, সরকারি অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। তাই জনস্বার্থে মামলাটি করা হয়েছে।