ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

এখনও কাঁচা বাজারে আগুন থামেনি, সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী

মো. মাইনুল হক, নীলফামারী
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সবজি বাজারের শীতকালীন সব ধরনের শাক-সবজির দেখা মিললেও গত কয়েকদিন ধরে এসবের দাম নাগালের বাইরে। কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী এবং এর সঙ্গে অন্যান্য শাক-সবজির দামও চড়া। 

শীত মৌসুম শুরুর আগেই হঠাৎ করে সব শাক-সবজির দাম এতোটা বেড়েছে যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরে আধুনিক পৌর সবজি বাজারে বেশ কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা এবং ধনিয়া পাতা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। 

আধুনিক পৌর সবজি বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গত চারদিন আগে কাঁচা মরিচের মানভেদে ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।
কিন্তু এখন আমাদের পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।’

মো. ভলু নামে আরেক সবজি বিক্রেতা বলেন, ‘আমরা পাইকারি আড়ৎ থেকে সবজি আনি। ওইখানেই দাম অনেক বেশি। পাইকারিতে দাম না কমলে আমাদের হাতে কিছু নাই।

হঠাৎ দাম বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ। সবজি বাজারে বাজার করতে আসা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়ার জহরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা আক্ষেপ করে বলেন, এক কেজি কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা! চিন্তা করা যায়? সব কিছুর দাম বাড়তি। এইভাবে দেশ চলে নাকি?’

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু কাঁচামরিচ নয়, সব ধরনের সবজির দামই চড়া। একমাত্র পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। বাজারে এই পেঁপে জাত ও আকারভেদে আবার এই পেঁপেই বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য সব সবজির দাম ৬০ টাকার বেশি।

বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা দরে। শশার কেজি ৪০ টাকা, লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৬০ টাকা কেজি, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা, উস্তা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা।

এ বিষয় সৈয়দপুর পৌর শহরের কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা, জাহেদুল ইসলাম, গত কয়েকদিন ফলনশীল কম থাকায়, দাম বৃদ্ধি ছিল, এখন কিছুটা কম দাম।

মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘গত কয়েকদিন পুজোর কারণে বডার বন্ধ থাকায় দাম বেশি ছিল, এখন আমদানি শুরু হলে কিছুটা দাম কমতে পারে। এজন্য খুচরা বিক্রেতাদের বেশি টাকা গুনতে হচ্ছে। তবে শিগগিরই দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো দোকানদার ইচ্ছামতো বেশিতে কোনো পন্য বিক্রি করতে পারবে না। এজন্য বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। বেশিতে পন্য বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেলে ভ্রাম্যমান আদালতে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’