শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষা

মাদারীপুরে ৮০ বছর ধরে একই ভবনেই চলছে লাশ কাটা

মাদারীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ০৭:৪১ পিএম

মাদারীপুরে ৮০ বছর ধরে একই ভবনেই চলছে লাশ কাটা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

৮০ বছর আগে নির্মিত একতলা ভবনেই চলছে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের লাশকাঁটা ঘরের কার্যক্রম। পুরনো এই ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করলেও নেই নতুন ভবন নির্মানের কোন অগ্রগতি।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বিষয়টি গণপূর্ত অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে। আর গণপূর্ত বিভাগের দাবি, মন্ত্রনালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেই শুরু হবে নতুন ভবন নির্মানের কার্যক্রম।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, একজন ডোমের সহযোগিতায় হাসপাতালের গঠিত কমিটির চিকিৎসকরা লাশের ময়না তদন্ত করে থাকেন। কিন্তু ময়না তদন্তের জন্য থাকা ভবনের কোথায়ও খসে পড়ছে পলেস্তারা, আবার কোথায়ও ভেঙ্গে গেছে দরজা-জানালা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে এর কার্যক্রম। তবুও দেখা মিলছে না সমাধানের। মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রতিমাসে ১৫-২০টি লাশের ময়না তদন্ত করা হয়। যার এক তৃতীয়াংশই অজ্ঞাত। পরে এই পরিচয়হীন লাশের দাফন করা হয় পৌর কবরস্থানে।

জানা যায়, ১৯৪৪ সালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের পেছনে নির্মাণ করা একতলাবিশিষ্ট লাশ কাটা ঘর বা ময়নাতদন্ত কেন্দ্র। এরপর আর নির্মাণ হয়নি নতুন ভবন। কয়েক দফা লাখ লাখ টাকা খরচ করে পুরনো ভবনটি সংস্কার করা হলেও স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের ডোম ও চিকিৎসকরা। বারবার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় বাড়ছে আতঙ্ক।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, নতুন ভবন নির্মানে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। এদিকে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, নতুন ভবন নির্মানে মন্ত্রনালয়ের অনুমতি পেলেই শুরু হবে কার্যক্রম।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ডোম আলাল জমাদ্দার বলেন, এই পুরানো ভবনে আমার দাদা ও বাবা দুইজনেই কাজ করেছে। আমিও কাজ করছি ৩০ বছর। তবুও ভবনের কোন পরিবর্তন নেই। এখন পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে ভবনটি। এটি ভেঙ্গে দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ও মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান বলেন, বারবার চিঠি দিয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নতুন ভবন নির্মানের জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তেমন কোন আলোর মুখ দেখা যায়নি। তারা শুধু আশ্বাসের বানী দিচ্ছে। কিন্তু কবে, নতুন ভবন নির্মাণ করে দিবেন, এর কোন দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম নেই।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেন জানান, সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মানের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন। এই প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে নতুন ভবন নির্মানের কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে জেলা থেকে কোনকিছুই করার নেই।

আরবি/জেডআর

Link copied!