ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের পদধ্বনি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৬:১০ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের পদধ্বনি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

হেমন্তের শুরুতে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের পদধ্বনী শুরু হয়েছে। সারাদিন সূর্যের উত্তাপ থাকলেও বিকেলের দিকে কমে যাচ্ছে সূর্যের প্রখরতা।রাতে কুয়াশা এবং ভোর রাতে শীতের কাঁথা গায়ে দেওয়ার চাহিদা জানিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বিকেলে শহরের কোথাও কোথাও শীতের ভাপাপুলির দোকান জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে শীতের আমেজ।

বাংলা পুন্জিকা মতে, মাঘ ও ফাল্গুন মাস শীতকাল। বর্তমানে শুরু হয়েছে হেমন্তকাল। ইংরেজি নভেম্বর মাসের দিকে দেখা হয় শীতের আমেজ। ঠাকুরগাঁও জেলা হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় প্রতি বছর এখানে আগাম শীত পড়ে ।এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।ইতোমধ্যে রাতে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। সকালে দুর্বাঘাস আর ধানের শীষে শিশির জমে থাকা শিশির বিন্দু ঝলমতে আলোয় মুক্তার ন্যায় চিকচিক করছে। সকালের দিকে ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় মোটর সাইকেলের চালকদের মোটা কাপড় ও রেইনকোর্ট ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় কৃষকরা তাদের গরু মহিষ নিয়ে মাঠে চড়াতে নিয়ে যায় শীতের ছোয়া পেতে। আর আলু,পটল,মূলা চাষীরা সকাল সকাল জমিতে আলু রোপণসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে।আবার অনেক চাষী করলা, লাউ ইত্যাদি মাঠ থেকে সংগ্রহ করে পাইকারদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, এ বছর দীর্ঘ কয়েক মাস প্রখর রোদ ও প্রচন্ড গরম পড়ায় বর্তমানে হাল্কা ঠান্ডায় শরীর মন জুড়িয়ে যাচ্ছে।দিনে রোদের তাপ থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকেই পড়তে থাকে হালকা কুয়াশা। রাত বাড়ার সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে থাকে। সেই সাথে বাতাসের আদ্রতা কমে যাওয়ায় রাতে কাথা গায়ে দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে, উত্তরের জেলা অভিমুখে আসা দ্রুতগামী কোচের চালকদের অনেক জায়গায় কুয়াশা ভেদ করে গাড়ি চালিয়ে আসতে হচ্ছে। সেই সাথে সিরাজগন্জ পার হওয়ার পরপরই যাত্রীদের ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়তে হচ্ছে ইতোমধ্যে।

শীতকালের আরেক অনুসংগ মজার খাবার শীতের ভাপাপুলি। শীতকালে শহর গ্রাম সর্বত্র শীতের ভাপাপুলির দোকান বসে।সেখানে সকল বয়সের মানুষজন পৌকান পিঠা, পোয়া পিঠা, চিতুয়া পিঠা ইত্যাদি খেতে সকল বয়সের মানুষজনকে ভীড় করতে দেখা যায়। এ বছর ইতোমধ্যে আদালত চত্বরে শুরু হয়েছে শীতকালীন পিঠার দোকান।

ঠাকুরগাঁওয়ে কোনো আবহাওয়া অফিস না থাকায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তররের দেয়া তথ্য মতে গত কয়েকদিন ধরে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে।

এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীত মোকাবেলায় প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা।।

আরবি/জেডআর

Link copied!