ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

জয়পুরহাটে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু অভিযোগ স্বজনদের

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

জয়পুরহাটে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর মৃত্যু অভিযোগ স্বজনদের

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জয়পুরহাটে টনসিল অপারেশনের পর রুমা আক্তার (২৮ ) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাতে জয়পুরহাট জেলা সদরের পূর্ব বাজার এলাকায় বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপারেশন শেষে ওই গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার ও স্বজনরা।

নিহত ওই গৃহবধূ জয়পুরহাট সদর উপজেলার নুরপুর মৃধাপাড়া গ্রামের শামীম হোসেনের স্ত্রী এবং এক পুত্র  সন্তানের জননী ছিলেন। অবুঝ ৬ বছরের সন্তান মায়ের জন্য আর্তনাদ করছে। তার মৃত্যুতে পরিবার, স্বজনদের মাঝে ও পুরো এলাকায় শোকের মাতম চলছে। 

পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা জানান, গৃহবধূর রুমা আক্তারের টনসিল অপারেশন করাতে শুক্রবার রাতে বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে নেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে ডাক্তার আসাফউদ্দৌলা ও ডাক্তার তানভিরের তত্ত্বাবধানে টনসিল অপারেশনের পর গৃহবধূর মৃত্যু হলে তার মরদেহ রেখে ডাক্তার, নার্সসহ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সবাই পালিয়ে যায়। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।

জয়পুরহাট সদর থানার (ওসি তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান জানান, রুমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর টনসিল অপারেশনের পর মৃত্যুর খবর পেয়ে  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডাক্তার আসাফউদ্দৌলা ও ডাক্তার তানভিরের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে পাওয়া না গেলেও দেখা মিলে, বন্ধন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির ম্যানেজার সুজিত বসাকের। তিনি ঘটনার দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেন মৃত্যুর দায় ডাক্তাররা নিবে।

বর্তমানে জয়পুরহাট জেলাজুরে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রাইভেট ক্লিনিক। এসব প্রতিষ্ঠানে মানা হচ্ছে না সরকারি নিয়মনীতি। চিকিৎসা নিতে গিয়ে প্রায় সময় প্রতারণার শিকার হচ্ছেন রোগীরা। অপচিকিৎসায় বিপন্ন হচ্ছে জীবনমান। দাপ্তরিক অব্যবস্থাপনার জন্যই বেশকিছু অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক বা হাসপাতাল গড়ে উঠেছে, মন্তব্য বিশিষ্টজনদের। তারা বলেন, আমরা চাই, সংশ্লিষ্ট দপ্তর কার্যকর দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে লাইসেন্সের আওতায় অথবা আবেদন বাতিল করে জনসাধারণের সঠিক চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চিত করা হোক।

আরবি/জেডআর

Link copied!