বৈরী আবহাওয়ায় বরজ নষ্টের পর পানের দামও কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে পান চাষের বিষয়েও আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন পান চাষীরা।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) জেলার ফকিরহাট বাজার, টাউন নওয়াপাড়া, চুলকাঠি, ও মানসা বাজার ঘুরে পানের দরপতনের এ চিত্র দেখা যায়।
একাধিক পান চাষি জানান, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে তাঁরা আগেভাগে পান তুলে বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। কিন্তু দেখা যায় কেউ পান কিনতে চাচ্ছে না। প্রতি পোন (৮০ টি) বড় আকারের পান ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝারি আকারের পান ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং ছোট আকারের পান ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ অন্য সময় এর অন্তত তিনগুণ দাম পাওয়া যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পানচাষিরা জানান, মাস তিনেক আগে তীব্র দাবদাহে বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। এটা কাটিয়ে উঠতে না ওঠতে অতিবৃষ্টির কবলে পড়ে পান চাষিরা একরকম সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পানের হাট টাউন নোয়াপাড়া বাজারের ইজারাদার মোশা মেম্বার বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পান রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে পাইকারদের পান কেনার চাহিদা কমে গেছে। তা ছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় বরজের পান নষ্ট হওয়ায় চাষিরা দ্রুত পান কেটে বাজারে নিয়ে আসছেন। পাইকার কম থাকায় ও জোগান বেশি হওয়ায় পানের দাম একেবারে কমে গিয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে পান চাষিদের ক্ষতি হয়েছে। পানের দাম কমে যাওয়ায় তা আরও তীব্রতর হয়েছে। তবে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পানচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :