অনুমোদনের তোয়াক্কা না করে খেলার মাঠে মেলা

ঢাকা: গাজীপুর মহানগরীর পুবাইলে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ দখল করে মেলার আয়োজন করতে দেখা গেছে।

পূবাইল উচ্চ বিদ্যালয় এবং পুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ আয়োজন করা হয়। পুবাইল থানা বিএনপির সকলের সমন্বয়ে বিএনপির একটি অংশ মেলাকে সফল করার জন্য ব্যাপক আঙ্গিকে কাজ করছে। অথচ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্কুল মাঠে মেলা আয়োজনের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। রোববার থেকে মেলা শুরু হয়েছে। চলবে সাতদিন ব্যাপি।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে মহানগরীর পুবাইল থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত ওই মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন। সেই সাথে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, শিক্ষা অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকলেও প্রধান অতিথি উপস্থিতকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো. আমিরুল ইসলামকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

পূজার ছুটি শেষ হয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) থেকে খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু পুবাইল উচ্চ বিদ্যালয় এবং পুবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মেলার আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। এমতাবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের বিঘ্ন ঘটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। মেলা মাঠে দৈনিক রুপালী বাংলাদেশের প্রতিবেদকের কথা হয় বাদল নামে একজন অভিভাবকের সাথে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নিরুপায়। কার কাছে বিচার দিবো? বিএনপির তাদের ক্ষমতা দেখিয়ে মেলার আয়োজন করলো। পুলিশও কোনো ব্যবস্থা নিলো না, বরং তারা মেলায় সকল সহোযোগিতা করলো।

গাজীপুর পুবাইল থানা যুবদলের সভাপতি মজিবর রহমান আমরা এটা করিনি। আমাদের দাওয়াত করেছে আমরা তাই এসেছি। অনুমোদনের বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। আমরা সকল সহযোগী সংগঠন একসাথে এসেছি মেলাকে সফল করার জন্য।

গাজীপুর জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত ছিলাম না। এখনই জানলাম। আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ বন্ধ করে অনুমোদন বিহীন ভাবে কেউই মেলা করতে পারে না। আমি তদন্ত করে দেখবো কিভাবে মেলার আয়োজন করা হলো। সঠিক কোনো জবাব না পেলে আমরা লিখিত আকারে চিঠি পাঠিয়ে জবাব চাইবো।

এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, অনুমতি ছাড়া মেলা করার কোনো সুযোগ নেই। আমি ঘটনাটি শুনেছি। তদন্ত করে দেখবো যে কিভাবে মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।