ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

চা কন্যার দেশ ও চা

তমাল ফেরদৌস, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৮:০৭ পিএম

চা কন্যার দেশ ও চা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দেশের যেখানেই আপনি বেড়াতে যাবেন না কেন? আপনাকে চা-এর দেশের সবুজ বনানীর স্বাদ কেউ দিতে পারবেনা। চা-এর পাতার উপর বৃষ্টির ফোঁটা টলমল করা, গাঢ় সবুজ পাতার বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যাওয়া, যেদিকে চোখ বুলাবেন শুধু সারি সারি গাছ আর পাতা। এই দৃশ্য একমাত্র চা-এর দেশ শ্রীমঙ্গলে গেলেই তবে দেখবেন। আর তার সাথে যদি চা-এর সবুজের ভেতরে একটু বিশ্রামের জন্য একেবারে মনের মতো কোন সাজানো পরিবেশ পেয়ে যান তাহলেতো আপনি স্বপ্নের ঘোরে কাটাবেন সারাটা সময়। অনেকেই হয়তো শ্রমিকের চা পাতা তোলার দৃশ্য দেখেছেন, চা বাগান দেখেছেন কিন্তু চা কন্যার ভাস্কর্য দেখেননি। তাদের আমন্ত্রণ অভিনন্দন জানাতে পাহাড়ের উপর নিজের অস্তিত্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চা কন্যার একটি বিশাল ভাস্কর্য।

১৮৫৪ সালে এ দেশে সিলেটের মালনিছড়ায় প্রথম চা এর চাষ শুরু হয়। সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে এসে এদেশে ব্রিটিশ কোম্পানী ডানকান ব্রাদার্স চা চাষ শুরু করে। তারপর সবুজ চা পাতার একটি পাতা ও দুটি কুঁড়ি দিয়ে কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে চা উৎপাদন শুরু করেছিল। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় চা উৎপাদনে রয়েছে অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য। ব্রিটিশ কোম্পানী এ দেশে চা চাষে শ্রমিক এনেছিল দক্ষিণ ভারত, বিহার, উড়িষ্যাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। নানা লোভনীয় কথা বলে ব্রিটিশ কোম্পানী চা শ্রমিকদের এদেশে (বাংলাদেশে) এনেছিল। অনেকটা আমেরিকায় আফ্রিকার কালো মানুষদের নিয়ে কাজ করানোর মত ঘটনা।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শ্রমিকদের নিয়ে এসে চা বাগানের কাজে লাগানো হয়েছিল। এই শ্রমিকরা উঁচু নীচু পাহাড়ি এলাকার রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে পরিশ্রম করে যেভাবে চা উৎপাদন করে থাকে তা অন্য কোন সম্প্রদায়ের লোকজন করতে পারবে না। চা শ্রমিকদের কষ্টে উৎপাদিত চা দেশের বাজার ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করলেও চা শ্রমিকরা তাদের উৎপাদিত চায়ের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না।

ব্রিটিশ শাসন আমলে ভারতে চা উৎপাদনকারী সংস্থা ইন্ডিয়ান টি এসোসিয়েশনের সদর দপ্তর (আইটিএ) করেছিল মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর চা বাগানে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর পাকিস্থান টি এসোসিয়েশনের সদর দপ্তর ছিল শমশেরনগরে। আর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে চা সংসদ হলে সদর দপ্তরও শমসেরনগর থেকে পরিবর্তন করে চট্রগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত ইন্ডিয়ান টি এসোসিয়েশন (আইটিএ)-র সদর দপ্তরের সেই ভবনটি আজো কালের স্মৃতিময় স্বাক্ষী হিসাবে রয়েছে। যা ডানকান ব্রাদার্সের ‘লংলা হাউস’ নামে পরিচিত। এই লংলা হাউসের ভেতরের আঙিনা ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে রয়েছে ব্রিটিশ শাসন আমলের মূল্যবান বেশ কিছু ভাষ্কর্য। সেই সব ভাস্কর্যগুলোর কথা মনে করিয়ে দেয় চা এর রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গল সীমান্তে প্রবেশ পথে নতুন করে নির্মিত চা কন্যার ভাস্কর্যটি। বৃহত্তর সিলেটেই দেশের ৯৮ শতাংশ চা বাগান। আর মৌলভীবাজার জেলায় রয়েছে মোট ৯৩টি চা বাগান (পরিত্যক্ত ২টি)। ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল হয়ে মৌলভীবাজার প্রবেশ পথে হবিগঞ্জের মুছাই অতিক্রম করে সাতগাঁও চা বাগানে প্রবেশ পথে আলিয়াছড়া খাসিয়া পুঞ্জির সড়কের পাশে সাতগাঁও চা বাগান কর্তৃপক্ষ নির্মাণ করেছেন চা কন্যার ভাষ্কর্যটি। ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল প্রবেশ পথে মৌলভীবাজার জেলার সীমানায় স্বাগতম জানায় এই চা কন্যা। সাতগাঁও চা বাগানের সৌজন্যে শিল্পী সঞ্জীত রায় তৈরী নির্মাণ করেছেন এই ভাষ্কর্য। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারী মৌলভীবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক উদ্বোধন করেন এই ভাস্কর্যটি। পেছনে পাহাড়, পাশে চা বাগান এর শিল্পীর নির্মাণ শৈলী সব মিলিয়ে সত্যিই অনেক সুন্দর। শ্রীমঙ্গল-ঢাকা সড়কের পূর্ব তীরে উঁচু নিচু সবুজ টিলার সাথে চা কন্যার ভাষ্কর্যটি। আর সড়কটির পশ্চিম তীরে উঁচু নিচু টিলায় চা গাছের সারি। উপরে বিশাল মেঘভরা নীল আকাশ চা কন্যার ভাস্কর্যকে আরও মোহনীয় করে রেখেছে। চা শিল্পের প্রাণ চা শ্রমিক। আর চা শ্রমিকদের প্রাণ হলো মহিলা চা শ্রমিক। মাথার উপর থেকে বেতের দড়ি দিয়ে ঝুড়িটি পিটের সাথে বেঁধে রেখে দু’হাতের আঙ্গুল দিয়ে চা গাছ থেকে পাতা তোলা মহিলা চা শ্রমিকদের দৃশ্য দেখতে অপরুপ লাগে। ঘন সবুজের মাঝে নানা রঙের শাড়ী পড়ে নানা বর্ণের মহিলা চা শ্রমিকরা চা উত্তোলণ করে থাকে সেই বাস্তব দৃশ্যটির প্রতিফলন ঘটিয়েছেন শিল্পী সঞ্জীত রায় তার শিল্পকর্মে। বাসে, প্রাইভেট যানবাহনে করে যাতায়াতকালে অনেকেই চা কন্যার ভাষ্কর্য অবলোকন করতে তার পাশে কিছু সময়ের জন্য নীরবে বসে কাটাতে পছন্দ করেন। অনেক বনভোজন প্রেমী দলও আজকাল চা কন্যার ভাষ্কর্যস্থলে এসে বনভোজন করে যেতে দেখা যায়। দু’পাশে সারি সারি চা বাগান তারপরই দেখা মেলবে চা কন্যার। ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল প্রবেশ পথে মৌলভীবাজার জেলার সীমানায় স্বাগতম জানায় এই চা কন্যা। চা কন্যা ভাস্কর্যের কাছে এসে বুঝা যাবে সঠিক স্থানেই সাতগাঁও চা বাগান কর্র্তৃপক্ষ চা কন্যা ভাষ্কর্যটি নির্মাণ করেছেন। এই বাগানের স্বত্ত্বাধিকারী মরহুম আহমেদুল কবির। আপনাকে চা কন্যার দেশে স্বাগতমশু দীর্ঘ ৭০ বছরের অপেক্ষার পর ২০১৮ সালের ১৪ মে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলে দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়। ২০১৭ সালের ৮ ডিসেম্বর নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দল মুহিত। উদ্বোধনের ৫ মাস পর থেকে এঅঞ্চলের ব্যবসায়ী, চা শ্রমিক নের্তৃবৃন্দ, চা শ্রমিক, বাগান মালিকসহ সর্বস্তরের মানুষের আকাঙ্খিত নিলাম কার্যক্রম শুরু হয় শ্রীমঙ্গল থেকে। ১৪ মে (২০১৮ ইং) সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় বাংলাদেশ চা বোর্ডের আয়োজনে শ্রীমঙ্গল শহরের খাঁন টাওয়ারে টি প্ল্যান্টার্স এন্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো নিলাম কার্যক্রম শুরু হয় দেশের দ্বিতীয় চা নিলাম কেন্দ্রে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান (পিএসসি)।

বর্তমানে শ্রীমঙ্গলের খাঁন টাওয়ারের ৪র্থ তলায় নিলামে বিভিন্ন প্রকার লিপ ও ডাস্ট চা প্রদর্শন করা হয়। বায়াররা এসব চা পাতা শুঁকে নিয়ে পরখ করে ক্রয় করেছেন। নিলামে চট্ট্রগ্রাম, ঢাকা, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার শতাধিক ব্রোকার্স, বায়ার ও বাগান মালিকগণ অংশগ্রহণ করে থাকেন। দেশের দ্বিতীয় চা নিলামে প্রথম দিনে ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়। যার মূল্য ১২ কোটি টাকা। এটি মৌসুমের চতুর্থ নিলাম এবং শ্রীমঙ্গলে প্রথম। এদিকে প্রথম দিনের নিলামে প্রথম লট এর ৫৫০ কেজি চা এর প্রতি কেজি ১১ হাজার ২শ’ টাকা করে ক্রয় করেন ইস্পাহানী চা এর কর্ণধার সালমান ইস্পাহানী। এটি তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান দেখিয়ে ক্রয় করেছেন বলে জানা গেছে। ওইদিন দুপুর দুইটায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তর থেকে বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নিলাম কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল মহসীন অডিটোরিয়ামে এক সুধী সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশিষ বসু। এছাড়াও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান, চা শিল্প সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। ২৫ জুন ২য় নিলামে ১২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৬৫০ কেজি ও ১৬ জুলাই ৩য় নিলামে উত্তোলন করা হয় ১৮ লক্ষ ৪ হাজার কেজি।

মৌলভীবাজার জেলায় ৯৩টি চা বাগানের পাশাপাশি সিলেট বিভাগে ১৩৩টি চা বাগান রয়েছে। এসব বাগান মালিকরা শ্রীমঙ্গল নিলাম কেন্দ্রের মাধ্যমে চা পাতা ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। জানা যায়, দেশের মধ্যে ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হয় সিলেটে আর মাত্র ২ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয় পঞ্চগড়ে। এছাড়া ৯২ শতাংশ চা উৎপন্ন হয় এই সিলেটের বাগানগুলো থেকে। পূর্বে মৌলভীবাজারসহ বৃহত্তর সিলেটের ১৩৩টি চা বাগান চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে নিলাম করতে হতো। এতে করে জ্বালানীসহ আনুষাঙ্গিক খাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটি ট্রাকের (৫ হাজার কেজি) পেছনে খরচ পড়ে। এছাড়া প্রতি কেজি চা পাতাতে খরচ পড়তো বাড়তি ২ টাকার মতো। অন্যদিকে চা পাতা গাছ থেকে কর্তনের পর সপ্তাহখানেক পড়ে থাকার কারণে চা এর গুণগত মানও নষ্ট হতো। বর্তমানে শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম
কেন্দ্র চালু হওয়ায় এই বাড়তি খরচ সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি চা এর গুণগত মানও অক্ষুন্ন থাকছে।

চা শ্রমিক নেতা মাখন লাল কর্মকার ও সিতারাম অলমিক জানান, নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হওয়ায় চা শ্রমিকদের শিক্ষিত বেকার যুবকরা চাকুরী পাওয়ার আশা করছে। পাশাপাশি ব্যবসাও করতে পারবে। এতে করে মালিকদের পাশাপাশি শ্রমিকদেরও আর্থিক উন্নতি হবে। অন্যদিকে বাগানের অনিয়মিত শ্রমিকরা নিয়মিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। চা এর উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে বাগানের পতিত জমিও চাষের আওতায় আসবে। এতে করে আরো শ্রমিকরা চাকুরী পাবে বলে তাঁরা জানান।

এদিকে বাগান মালিক ও শ্রীমঙ্গল পৌর চেয়ারম্যান মহসীন মিয়া মধু জানান, এখান থেকে নিলাম কার্যক্রমটি শুরু খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। কারণ শতকরা ৮০ ভাগ চা এখান থেকে উৎপন্ন হয়। এখন ক্রেতাদের চাহিদা ও রুচিবোধের উপর নির্ভর করে পছন্দসই চা বিক্রি করা হয়। এতে করে এঅঞ্চলের মানুষের জীবনমান ও ব্যবসার উন্নতি হচ্ছে। এছাড়া এই এলাকায় পাঁচ তাঁরা মানেরও হোটেল মোটেল ও কটেজ আছে। পর্যটনের একটা বিরাট সম্ভাবনা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়বে সাধারণ মানুষের।

এদিকে স্থানীয় খুচরা ও পাইকারী চা ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের পাশাপাশি এখান থেকে নিলাম শুরু হওয়ায় ঢাকা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা দিনের মধ্যে তাঁদের কাজ শেষে ঢাকায় ফিরে যেতে পারছেন। এছাড়া এখান থেকে নিলাম শুরু হওয়ায় কেজি প্রতি কম দামেও চা ক্রয় করছেন ব্যবসায়ীরা।

এবিষয়ে মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাষ্টির সাথে জড়িতরা জানান, এখানে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় ব্যবসায় গতি ফিরেছে, আগামীতে আরও ওয়ারহাউজ নির্মাণ হবে, কর্মসংস্থান বাড়ছে, আরো বাড়বে, হোটেল রেষ্টুরেন্টসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়বে।

এদিকে বাংলাদেশীয় চা সংসদ এর ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান (সিলেট বিভাগ) গোলাম মো. শিবলী জানান, নিলাম কেন্দ্র চালু হওয়ায় অনেক উপকার হচ্ছে। চট্টগ্রাম পাঠাতে যে হয়রানী ও বাড়তি খরচ সেটা থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, যাতে ভারতীয় চা যেনো আমাদের নিলামে আসতে না পারে। কারণ ভারতীয় চা এর গুণগত মান নিম্নমানের। এই চা আসলে আমাদের চা এর মান নষ্ট করে দেবে। ৯২ শতাংশ চা উৎপন্ন হয় এই সিলেটের বাগানগুলো থেকে। কিন্তু ন্যাশনাল টি কোম্পানী ঢাকায়। এই কোম্পানী যদি সিলেটে থাকতো তাহলে বাগানগুলোকে সরাসরি তরান্বিত, মানসম্পন্ন ও তদারকির কাজ কোম্পানী করতে পারতো। তাই ঢাকার যানজট থেকে মুক্তি পেতে সিলেটে ন্যাশনাল টি কোম্পানী স্থানান্তরিত করা হউক এই প্রস্তাব এসেছে বাগান মালিক, ব্যবসায়ীসহ সকলের পক্ষ থেকে।

এছাড়া বাগানগুলোকে সুচারুরুপে পরিচালনা, চা এর গুণগত মান নিরূপণ ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক কাজ করতে বাংলাদেশ টি বোর্ড ও সিলেটে স্থানান্তরিত করা হউক এই দাবিও এসেছে। সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ এই তিন জেলা মিলিয়ে প্রায় ১৩৩টি চা বাগান অবস্থিত। দেশের সিংহভাগ চা এই বিভাগ থেকেই
উৎপন্ন হয়ে থাকে। এসব বাগানে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলে লক্ষাধিক চা শ্রমিক কাজ করে থাকেন। মৌলভীবাজার জেলায় চা শিল্পকে কেন্দ্র করে প্রায় ২শ’টি ব্যবসা গড়ে ওঠেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!