শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

কামারখন্দে আ.লীগ কার্যালয়, কাঁচাবাজার নাকি ডাস্টবিন?

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

কামারখন্দে আ.লীগ কার্যালয়, কাঁচাবাজার নাকি ডাস্টবিন?

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় আওয়ামী লীগের উপজেলা ও ইউনিয়ন কার্যালয়গুলো এখন অবহেলিত অবস্থায় পড়ে আছে। বিশেষ করে ভদ্রঘাট ইউনিয়নের দলীয় কার্যালয়টি ময়লা-আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। একসময় যেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল, আজ সেখানে কাঁচাবাজার বসেছে। স্থানটি এখন বিভিন্ন বর্জ্য ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সম্প্রতি ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, নেতাকর্মীদের কোনো পদচারণা নেই। কার্যালয়ের ভেতরে-বাইরে মানুষজন যত্রতত্র ময়লা ফেলে রেখেছে। দোকানদাররাও কার্যালয়ের চারপাশে কাঁচা বাজারের দোকান বসিয়ে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছেন। এমন পরিস্থিতিতে বোঝা মুশকিল, এটি কোনো দলীয় কার্যালয় নাকি বাজার বা ডাস্টবিন।

দোকান মালিকরা জানান, গত ৫ আগস্ট একদল দুর্বৃত্ত কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর সেই সুযোগে মানুষ সেখানে ময়লা ফেলে যাচ্ছে।

কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় মনোহারী দোকান বসিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, "আগুন লাগার পর থেকে কার্যালয়টি ফাঁকা পড়ে আছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী এরপর আর এখানে আসেননি, তাই আমি জায়গাটি ব্যবহার করছি।"

ভদ্রঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা আব্দুস সামাদ বলেন, "রাজনীতি সবার অধিকার। আমরা কোনো দলকে বাধা দেইনি। স্বৈরাচার ও তার দোসররা পালিয়েছে, আর আওয়ামী লীগের নেতাদের অন্যায়-জুলুমের কারণে তারা আজ এখানে নেই। দলীয় কার্যালয়ের অবস্থাও তাদের মতোই হয়েছে।"

ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়েও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক টি. এম. মোস্তফা জয় এর কাছ থেকে।

এদিকে, ভদ্রঘাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মালেক খানের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদেও আসেন না।

আরবি/জেডআর

Link copied!