কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে শিশুসহ ২ জন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৬১৯টি ঘর। আজ মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট, সি-৫ ব্লক সিআইসি অফিসের পাশে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুনের পুড়ে যাওয়ার সেই স্থানে ছিল বসতবাড়ি দোকান পাট। ছিল মানুষের আনাগোনা। শিশুরা খেলা করছিল। বাড়ি কর্তারা গিয়েছিল কাজে। নারীরা ব্যস্ত ছিল রান্নার কাজে। হঠাৎ আগুন লাগার খবরের শুরু হয় ছুটাছুটি। মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে যায় শতশত ঘরবাড়ি। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই শেষ হয়ে যায় সবকিছু। অনেকেই নিজের পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করতে পারিনি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে বসবাস এসব রোহিঙ্গা পরিবারের।
জাহেদা বেগম নামে এক রোহিঙ্গা নারী জানান, চাল চুলায় দিয়ে পানি আনতে গিয়েছিলেন তিনি, এসে দেখেন পুড়ে সব শেষ।
আবুল কাসেম নামের আরেক রোহিঙ্গা জানান, বাঁশ দিয়ে বেড়া বানাচ্ছিলেন ঘরের পাশেই। আগুন দেখে দৌড়ে আসেন। কোনো মতেই বউ বাচ্চাদের বের করতে পেরেছেন। বাকি সবকিছু পুড়ে শেষ।
কক্সবাজার রামু এবং উখিয়ার দমকল বাহিনীর ১২টি ইউনিট যায় ঘটনাস্থলে। আটটি ইউনিয়নের সহযোগিতা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে বিকেল ৩টায়।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম জানান, রান্না করার সময় চুলার আগুন থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডে আর্থিক ক্ষতি নিরুপণ করা হয়ে ৫৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। উদ্ধার করা হয়েছে এক কোটি টাকা মূল্যমানের সরঞ্জামাদী
আপনার মতামত লিখুন :