ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রতি পিস ফুলকপি ২ টাকা, কৃষকের মাথায় হাত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম

প্রতি পিস ফুলকপি ২ টাকা, কৃষকের মাথায় হাত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমী ফসল ফুলকপি চাষ করে বিপাকে কৃষকরা। বাজারগুলোতে ফুলকপির জোগান বেশি হওয়ায় দাম পাচ্ছে না সাধারণ কৃষকরা। হাটবার আসলে যেনো ফসল তুলে মাথায় হাত দিয়ে বাজারে বসে থাকতে হয় চাষীদের ।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার হিজলগাড়ী, বেগমপুর ওজীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাঠের স্থানে ট্রাক দাড়িয়ে ২টাকা দরে প্রতি পিস ফুলকপি পাইকারি বিক্রি করছেন কৃষকরা। ঠিকমত ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করতে ব্যর্থ মৌসুমী এই সবজিটি।

সরেজমিনে একাধিক কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাইকারী বিক্রি করতে গিয়ে ৭০-৮০ টাকা মন বিক্রি করতে হচ্ছে, আবার কোন কোন সময় পাইকারী পাটি না পেলে রাস্তায় রাস্তায় বসে প্রতি পিস ২-৩ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বেগমপুর গ্রামের আঃ সালাম জানান, অতিরিক্ত ফুলকপি আবাদ হওয়ায় সঠিক দাম পাচ্ছি না, বাজারে এনে দেখা যায় পুরো বাজার যেনো কপিতে ভরপুর।যার ফলে কপি বিক্রি করা অনেক কষ্ঠ ।

আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক সাজেদুর রহমান  বলেন, একটা কপির চারা কিনতে হয়েছে ৩টাকা এখনও খরচ বাদ আর এখন একটা কপি বিক্রি করতে হচ্ছে ২টাকা ।শুধু তাই নয় কপি কেউ কিনতে চাচ্ছে না ব্যাপারির হাতে পায়ে ধরে দিতে চাইলেও নিতে চাচ্ছে না। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৩০-৪০হাজার টাকা খরচ হয় এবার সব লোকসান হবে।

হিজলগাড়ি হাটের ক্রেতা শাহাদত হোসেন জানান, প্রথম দিকে এক কেজি কপি ছিল ৫০-৬০টাকা কেজি সে সময় কপি খাওয়া খুব কষ্ঠ ছিল গত হাটে জোর করে ৫টি ফুলকপি দিয়েছিল ৩দিন না যেতেই হাট আবারও ডাকাডাকি করে জোর করেই ২টাকা পিচ হিসাবে ব্যাগ ভর্তি করে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, গতবছর দাম বেশি পাওয়ায় কৃষক এবার ফুলকপি আবাদে বেশি ঝুঁকেছে, এছাড়া পরিবেশ অনুকূলে থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এ জন্য বাজারে প্রচুর ফুলকপির সরবরাহ আছে।তবে কৃষকরা যদি একটু চিন্তা ভাবনা করে চাষ করে তা হলে এ অবস্থা হয় না।

আরবি/জেআই

Link copied!