রাঙামাটির দুর্গম রাজস্থলীতে মারমা মগপার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মারধরে আহত হয়েছেন মঈনুল ও কালাম নামের দুই যুবক। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় কালামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সপ্তাহিক হাটে গেলে কালাম ছাড়াও মঈনুল নামের এক মাহিন্দ্রাচালককে আটক করে মারধর করে মগপার্টির ১০-১২ জন সন্ত্রাসী।
এসময় মারধর থেকে রক্ষা পেতে মঈনুল রাজস্থলী থানার ভেতরে ঢুকলে সন্ত্রাসীরা থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে মঈনুলকে মারধর করেছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত একমাসে অন্ততঃ চার দফায় ১২ জন বাঙালিকে মারধর করেছে মগপার্টির সন্ত্রাসীরা। এনিয়ে রহস্যজনকভাবে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করার অভিযোগ এনে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাজস্থলী-বাঙ্গালহালিয়া সড়ক বুধবার (২৩ অক্টোবর) সারাদিন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বৃহস্পতিবারও সারাদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবার কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগীদের পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বাঙ্গালহালিয়ার ৪ নম্বর পাথর বনপাড়া এলাকার দুই বাসিন্দা মাহিন্দ্রাচালক কালাম ও মঈনুল রাজস্থলীতে গেলে মগপার্টির ১০/১২ অস্ত্রধারী সদস্য তাদের আটকিয়ে বেদড়ক পেটাতে থাকে।
এসময় কালাম তাদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। অপরজন মঈনুল মগপার্টির সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিজের প্রাণ রক্ষায় রাজস্থলী থানা কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকে মঈনুলকে পেটায়। এতে করে তার শরীরে জখম হয়।
ভুক্তভোগী মঈনুল জানায়, আমি প্রচণ্ড মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এই ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে কালাম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাঙ্গালহালিয়ার ঘটনায় বুধবার রাতে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদীপ ঘোষালের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সজীব কান্তি রুদ্র মুঠোফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলেছেন। স্থানীয় লোকজনদের কিছু দাবি-দাওয়া ছিল, দাবিগুলো প্রশাসন মেনে নিয়েছে। তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে স্থায়ী নিরাপত্তা চায়।
ইউএনও আরো বলেন, প্রশাসন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। তাদেরকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। মগপার্টির সাথে বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এসব ঘটনা নিরসনে সবার সহযোগিতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :