নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া ভূঞারহাট এলাকায় সেতু না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো পার হতে গিয়ে গত আড়াই বছরে মৃত্যু হয়েছে ৩ শিশুর। দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ। দ্রুত সময়ে রফিক উল্যাহ সড়কে নোয়াখালী খালের ওপর একটি স্থায়ী কালভার্ট নির্মাণের দাবী স্থানীয়দের। কর্তৃপক্ষ বলছে সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব দেওয়া আছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন ভয় আর আতংক নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যামিকের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, সেতুর অভাবে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষকেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই সাঁকো দিয়ে। শুকনো মৌসুমে কিছুটা যাতায়াত করতে পারলেও বর্ষায় অনেকটাই একঘরে হয়ে পড়ে এখানকার বাসিন্দারা। অতি প্রয়োজনে তখন যাতায়াতের মাধ্যম হয় কলাগাছের বেহুলা। লক্করজক্কর সাঁকো পার হতে গিয়ে এ পর্যন্ত প্রাণ গেছে ৩ শিশুর। ভাঙা সাঁকো থেকে খালে পড়ে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশত মানুষ ও পাশ্ববর্তী মেঘনা নদী থেকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় খালে পড়া লোকজনের প্রাণের ঝুঁকি থাকে বেশি।
দুই দশকের বেশি সময় ধরে রফিক উল্যাহ সড়কের নোয়াখালী খালের উপরে নির্মিত প্রায় ৩শ ফুটের এ সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। সাবেক সেতুমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর নির্বাচনী এলাকা হলেও উন্নত সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলো এ অঞ্চলের মানুষ। কয়েক হাজার একর কৃষি জমি থাকলেও সেতু না থাকায় কৃষি পণ্য উৎপাদনেও পিছিয়ে রয়েছে তারা। বছরে দুই থেকে তিনবার ভেঙে পড়ে সাঁকোটি। আর এটি মেরামত করতে স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দা ও কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সম্মিলিত চাঁদার টাকায় ভরসা।
আওয়ামী লীগের শাসন আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আ.লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়েও প্রতিকার না মেলায় আক্ষেপ ছিলো বাসিন্দাদের।
কাঠের সাঁকো থেকে এটিকে স্থায়ী পাকা সেতুতে রূপান্তর করা হলে এ অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বদলে যাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাই বর্তমান উপদেষ্টা প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন এলাকাবাসী।
কবিরহাট উপজেলা প্রকৌশলী হরষিত কুমার সাহা বলেন, আমরা বার বার সেতুটির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি, বর্তমানে এই সেতুটি প্রসেসিংয়ে আছে, যেই কোন মূহুর্তে অনুমোদন হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :