ঘূর্ণিঝড় দানা যত উপকূল নিকটবর্তী হচ্ছে তত সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকাল থেকেই দানার প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টি আর ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়ে গেছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা।
এ কারণে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসক।
দুর্যোগ প্রবণ সাতক্ষীরার সাধারণ মানুষের জন্য ঝড় জলোচ্ছাস যেন পিছু ছাড়ছে না। ২৬ মে হানা দিয়েছিলো রিমাল, সেই রিমালের হাত ধরেই সাতক্ষীরা উপকূলেই চলে এলো দানা। এই অবস্থা যত নিকটবর্তি হচ্ছে তত বেশি ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন উপকূলবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাক আহমেদ জানান, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার দুর্বল বেড়িবাঁধ নিকটবর্তি মানুষদের জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে জেলার দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদেরও ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরায় রয়েছে বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে নির্মিত উপকূলীয় নদী বেড়িবাঁধ। যার সবটাই অনিরাপদ। তবে এ মুহুর্তে শ্যামনগর ও আশাশুনির ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জরাজীর্ন ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ঘুর্ণিঝড় দানা উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার নিকটবর্তী হয়ে পড়েছে। ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।
আপনার মতামত লিখুন :