বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্তিশুন্ড গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ আড়াই কিলোমিটারের বেহাল সড়কের নির্মাণ কাজে অর্থের বিনিময়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।
গত রোববার সকালে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার বরাবর হস্তিশুন্ড গ্রামের বাসিন্দা জহির ডাকুয়ার প্রেরিত অভিযোগে জানা গেছে, পশ্চিম হস্তিশুন্ড থেকে শুরু হয়ে কাজিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে বহরকাঠি গ্রামের সড়ক ও জনপদ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।
যেকারণে ওই রাস্তাটি পাকা করার জন্য রাস্তার সম্পূর্ণ বিবরণ সংযুক্ত করে গ্রীসে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করা হয়। ফলশ্রুতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি কাপেটিং করার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, বিষয়টি জানতে পেরে কাজিরা গ্রামের বাসিন্দা ঢাকার কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারের উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন তার গ্রামের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করার ষড়যন্ত্র করেন। তারই ধারাবাহিকতায় উজিরপুর উপজেলা এলজিইডি বিভাগের এক কর্মকর্তাকে ৭০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে রাস্তার কাজ ঘুরিয়ে দিয়েছেন।
ফলে মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তার কথা উল্লেখ করে উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সাইফুল নতুন করে রাস্তা মেপে বাস্তবায়নের জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশপত্র প্রেরণ করেন।
যেকারণে যেখান থেকে রাস্তার কাজ শুরু হবার কথা সেখান থেকে না হয়ে ওই সরকারি কর্মকর্তার সুবিধার্থে উল্টোদিকে হতে যাচ্ছে রাস্তাটি।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসী নিয়মানুযায়ী রাস্তার আইডিতে পূর্বে যেভাবে ইট সলিংয়ের কাজ হয়েছে সেভাবে কার্পেটিং সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
পাশাপাশি এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসির পক্ষে রেমিটেন্স যোদ্ধা জহির ডাকুয়া স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
জানতে চাইলে উজিরপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সাইফুল ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনারের উপ-পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেনের মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিফ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :