কক্সবাজারের ঈদগাঁও ইসলামপুরের মধ্য নাপিতখালীর সড়কটি বছর না পেরোতেই ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এক কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে য়াওয়ায় জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মৌলানা মনছুর আলম, মো. হুরাইরা জানান, গত বছর সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শুরু থেকে সড়কটি নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করে। এতে বছর না পেরোতেই সড়কটি ভেঙে গেছে।
ঈদগাঁও ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজার হয়ে ৪নং ওয়ার্ডে মধ্যম নাপিতখালী - ডুলাফকির মাজার সড়কে সংযুক্ত করে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে এলজিইডি প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ওই সড়কটি নির্মাণ কাজ পান স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
সড়কটির কাজ শেষ করেই গত জুলাই মাসে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। তবে সেই সময়ও কাজ নিয়ে বিভিন্ন কথা ওঠে আসছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে ভারী বর্ষণের কারণে সড়কটির বিভিন্ন অংশ ব্যাপক ভাবে ভেঙ্গে গেছে। সড়কে ভেঙ্গে খাদ সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে গাইডওয়ালও। একটু বৃষ্টি হলেই সড়ক উপচে পড়ে পানি। ভঙ্গুর সড়ক দিয়ে নুরানী, মক্তব স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ শিশু শিক্ষার্থী ও পথচারী এবং মসজিদের মুসল্লিদের চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। ফলে যান ও জন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
মধ্য নাপিত খালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহাফুজুর রহমান ও শিক্ষার্থী শাহরিয়ার চৌধুরী রাফিন বলেন, এই সড়ক দিয়ে মধ্যম নাপিতখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফোরকানিয়া নুরানি মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদের মুসল্লী, লবণ শ্রমিক সহ ৫ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী ও পথচারীদের যাতায়াত করে। তবে বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কর্মঘণ্টা ও বেশ ক্ষতি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
কক্সবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান জানান, ভারী বর্ষণে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব সড়কের তালিকাও করা হয়েছে।
বরাদ্দ পেলেই ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটির কাজ শুরু করা হবে।
সড়কটির সংস্কার হলে দুর্ভোগ কমবে এ অঞ্চলের মানুষের। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :