শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম

ভূয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে

মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০২:৫৫ পিএম

ভূয়া সনদে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

সমাজবিজ্ঞানে নিবন্ধন করে ও ভুয়া বি.এড সার্টিফিকেট তৈরি করে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুরের কে.এন.এস.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আখতারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের। 

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কে.এন.এস.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আখতারুজ্জামান এর বিরুদ্ধে সমাজবিজ্ঞানের নিবন্ধন , ভুয়া বি.এড সার্টিফিকেট তৈরি, বিষয়ভিত্তিক স্নাতক পাশ পরিক্ষায় ৩০০ নাম্বার না থাকা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিজের বাবা হাওয়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আখতারুজ্জামান ২০০৭ সালে  বিএড সনদের মাধ্যমে সহকারী শিক্ষক ( ইংরেজি) পদে যোগদান করেন। এই পদে এমপিওভুক্ত হয়ে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ উত্তোলন করছেন। তার সনদটি রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নামে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া। এছাড়াও ১৯৯৫ সালে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৩য় স্থান নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ডিগ্রি(বি.এ) শেষ করেন।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আখতারুজ্জামান দৈনিক দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ নেওয়া নেয়া হয়েছিল তবে কোন পদ সেটি উল্লেখ ছিল না তৎকালীন প্রধান শিক্ষক আমার নিয়োগ দানের সময় ইংরেজি কথাটি নিয়োগের পাশের যুক্ত করে দেন বলে জানান অভিযুক্ত শিক্ষক

কে.এন.এস.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক রফিকুল ইসলাম দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে শিক্ষক সার্কুলার হবে, সেই শিক্ষক নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যদি সমাজবিজ্ঞান নিয়োগ নিয়ে ইংরেজি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে পড়াতে পারে তাহলে ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে কাজ করাতে পারে বলে জানান কে.এন.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক

কে.এন.এস.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আত্মারুজ্জামানের যোগদানের সময় তার বাবা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কিতাব উদ্দিন নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ পরবর্তীতে তার কোন কাগজপত্র আমাকে দেখানো হয়নি। সাবেক প্রধান শিক্ষক সাত বছর আগে বিদ্যালয় থেকে অবসরে গেছেন তবে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও চাবি বুঝিয়ে দেননি। কিভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংঘটিত হয়েছে তারা ভালো জানেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

কে.এন.এস.এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় সাবেক প্রধান শিক্ষক কিতাব উদ্দিন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বিষয়ভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে অবশ্যই অত্র বিষয়ক ৩০০ মার্ক থাকতে হবে।

আখতারুজ্জামানকে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ভুলক্রমে তৎকালীন ডিজির প্রতিনিধি ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর-ই-আলম- মোরশেদ ভুলক্রমে তাকে ইংরেজি শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করেন। ভুলক্রমে তার নিয়োগটি ইংলিশ ক্রমে হয়ে গেছে বলে তিনি স্বীকার করেন। এখানে কোন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন হয়নি বলে তিনি জানান।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হোসনে মোবারক দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ব্যস্ততার কারণে তদন্ত করা সম্ভব হয়নি আগামী সপ্তাহে তদন্ত শুরু হবে।

লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে তদন্তর নির্দেশ দেওয়া হলেও। সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ হাতে পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।

আরবি/জেডআর

Link copied!