ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

টরকি-চেঙ্গুটিয়া প্রধান সড়কের সেতুতে গর্ত, ঝুঁকিতে ৫০ গ্রাম

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৩:২০ পিএম

টরকি-চেঙ্গুটিয়া প্রধান সড়কের সেতুতে গর্ত, ঝুঁকিতে ৫০ গ্রাম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি ব্রিজের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গর্ত দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রায় ৫০ গ্রামের বাসিন্দাদের। ঘটনাটি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়ন চেংগুটিয়া থেকে টরকি নিলখোলা প্রধান সড়কটিতে।

এমনকি সেতুর নিচের মূল কাঠামোর একটি ভিম বাঁকা হওয়ায় সেতুটি হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় ওই সেতু ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে বিষয় জানানোর পরেও তারা এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে গৌরনদী আগৈলঝাড়া উপজেলা সহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে। 

ট্রাক, পিক-আপ, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে এ ব্রিজ দিয়ে।

তারা আরও জানায়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে সংস্কারের দাবি তাদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চেংগুটিয়া বাজারের মাঝামাঝি টরকি বাশাইল খালের ওপরে নির্মিত ব্রিজটির দক্ষিণাংশের মাঝখানে কংক্রিটের ঢালাই ভেঙে বড় আকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে। ব্রিজের ভাঙা অংশ দিয়ে দীর্ঘদিন ঢালাই বিহীন রডের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

ওই সেতু নির্মাণের সময় সঠিকভাবে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ থেকে তদারকি না করার কারণে কাজের মান নিম্নমানের হয়েছিল। এ কারণে সেতু নির্মাণের কয়েক বছর পরেই সেতুর বিভিন্ন স্থানে গর্ত ও ফাটল দেখা দেয়।

ওই গর্ত ও ফাটলের স্থান একাধিকবার সংস্কার করার কয়েকদিন পর আবার ওই স্থানে গর্ত হয়ে যায়। এমনকি বর্তমানে সেতুর নিচের মূল কাঠামোর একটি ভিম বাঁকা হয়ে সেতুটি হেলে পড়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ বিষয়টি উপজেলা এলজিইডি বিভাগকে একাধিকবার জানানোর পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী সৈয়দ রুবেল নামে এক পথচারী বলেন, এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে আমাদের প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হয়। রাতে চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পড়ে অনেকেই দুঘর্টনার শিকার হচ্ছেন। চলাচলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বিএম খোকন জানান এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিনিয়তই প্রায় ৪০-৫০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ব্রিজটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে, এখন দরকার নতুন ব্রিজের। 

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, সেতুটির ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। এখন আমরা জানলাম। লোক পাঠিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!