ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

মানিকগঞ্জে সাবেক দুই এমপিসহ ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম

মানিকগঞ্জে সাবেক দুই এমপিসহ ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় প্রায় এক যুগ আগে হরতালের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মো. মজনু মিয়া (৬০) বাদি হয়ে সিংগাইর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মাজেদ খান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম, সিংগাইর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার ও মীর মো. শাহজাহান প্রমুখ।

মামলায় এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি হরতালের সমর্থনে মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হেমায়েতপুর সড়কের গোবিন্দল নতুন বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন ইসলামী সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা। হরতালের সমর্থনে শত শত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিণত হলে চরম ইসলাম বিদ্বেষী ও বিগত স্বৈরশাসক সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাদির ছেলে নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ চারজন নিহত হন। গুলিত নিহত অপর তিনজন হলেন গোবিন্দল গ্রামের মওলানা নাসির উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও শাহ আলম।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর একই ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, ৩৭ পুলিশ সদস্যসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন গোবিন্দল গ্রামের মো. সহিদুল ইসলাম।

ওই মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরুল ইসলাম, জেলা ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. মহিবুল আলম, মদন মোহন বণিক ও মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, সিঙ্গাইর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আদিল মাহমুদ, মোজাম্মেল হোসেন প্রমুখ। 

পরে মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এর আগের মামলায় কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুটি মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আরবি/জেডআর

Link copied!