ঢাকা রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদীর বালু উত্তোলনে হুমকিতে কয়েকটি গ্রাম

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদীর বালু উত্তোলনে হুমকিতে কয়েকটি গ্রাম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

খুলনার পাইকগাছায় প্রসাশনের নিরব ভূমিকায় কপোতাক্ষ নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবাধে বালু ও মাটি উত্তোলন করায় ভাঙ্গনের মুখে ঘরবাড়িসহ বোয়ালিয়া ব্রীজসহ রাডুলী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হলেও বন্ধ হয়নি অবৈধ কর্মকান্ড।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বোয়ালিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি উত্তোলন করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ভাটা দুটি বোয়ালিয়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় হওয়ায় নদী থেকে বালু উত্তোলন করলে ব্রীজ ধ্বসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনেকটাই। আবার ভাটার পাশ্ববর্তী জেলে পাড়া সহ আশেপাশের এলাকায় প্রতি বছর কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ভেঙে তলিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। গত ১৯ সেপ্টেম্বরে রাডুলী ইউনিয়নে বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলে স্থানীয় দেড় শতাধিক লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ করে। সুন্দরবন আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এসএমএম ব্রিকস ও এসবি ব্রিকস নামের ছুটি ভাটায় সমান তালে বালু ও মাটি উত্তোলন করে হুমকির মুখে ফেলছে কয়েকটি গ্রাম।

স্থানীয়রা জানায়, দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি মিনারুল ইসলাম ও ডালিম সরদার সারা বছর কপোতাক্ষ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। আমরা প্রসাশনকে জানালেন কর্তৃপক্ষ আসলে বন্ধ করে। চলে গেলে আবার শুরু হয় বালু ও মাটি উত্তোলন। এদিকে বিদ্যালয়ে কমলমতি বাচ্চাদেরও হুমকির মুখে ফেলছে। যেমনটি হুমকির মুখে ফেলছে কয়েকটি গ্রাম। যেকোনো মুহূর্তে বেঁড়িবাধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে মিনারুল ইসলাম বলেন, নিজের জমি থেকে মাটি উত্তোলন করছি। অন্যান্য ভাটার মালিকরাও ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে। 

আরেক ভাটা মালিক ডালিম সরদারের কাছে বালু উত্তোলন করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে বালু না মাটি উত্তোলন করছি।

ইউএনও মাহেরা নাজনীন বলেন, বিয়ষটি ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!