কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ছাত্র চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যা মামলায় ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও অপরাধীদের এখনও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার ও কুষ্টিয়া মডেল থানার এফআইআর সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর রাত সাড়ে দশটার দিকে শহরের বনফুড বেকারীর মোড়ে অবস্থিত জনৈক লিটুর চারতলা বাড়ির ৩য় তলার মেসের বাসিন্দা রুবেল হোসেন কে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেয়া হয়। সে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার টেকনোলজির ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র। স্থানীয়রা রুবেল হোসেনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী যাওয়ার পথে রাত দেড়টার সময় রুবেল হোসেনের মৃত্যু হয়। কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ নিহতের মেসের ৫ জন কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা শহিদুল মন্ডল কুষ্টিয়া মডেল থানায় অঞ্জাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আটককৃত পাঁচ জনকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েও সীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই অলোক রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হত্যার সাথে জড়িত বিভিন্ন মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। হত্যাকান্ডের শিকার রুবেল হোসেন কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল মন্ডলের ছেলে।