ব্রীজ হলোই না এপিপির টাকার ব্রীজ তৈরীর নামে হরিলুট হলো। এ নিয়ে শুধু তদন্ত টীম হলো কিন্তু কোন সরকারী এ্যাকশন এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। লাখ লাখ মানুষ ক্ষুদ্ধ এনিয়ে।
এলাকাবাসীর দাবী, লাখো মানুষের কপাল পুড়লো, ব্রীজও ভেঙ্গেই পড়লো । দিন যতো যাচ্ছে সব আড়ালে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি এখন আমরা ব্রীজ নির্মানের সাথে জড়িত ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ারদের শাস্তি দেখতে চাই। তিস্তার অবহেলিত চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের পারাপারের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ চলেই আসছে। মাঝখানে শাখা নদীর উপর দিয়ে ব্রীজ তৈরী হলেও কাজ শেষের আগেই তা ভেঙ্গে যায়। আওয়ামী লীগের স্থানীয় চার নেতা এই ব্রীজের সাব ঠিকাদার ছিলেন। সে জন্য শুরু থেকেই ব্রীজ নির্মানে লুটপাট শুরু হয়। কর্মকর্তারাও গা ছাড়া ভাবে কাজটি ছেড়ে দেন। ফলে সোমবার বিকেলে ব্রীজটির বাকি অংশ শ্রোতের টানে অর্ধেক ধসে পড়ে। লাখ লাখ লোকের দীর্ঘ দিনের দাবির তিস্তার শাখা নদীর উপড়ে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয় সুন্দরগঞ্জ উপজলো পরিষদ। নকশাও করে উপজলো প্রকৌশল অধদিপ্তর। নকশাটি করা হয় ত্রুটিপুর্ণ ভাবে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির এডিপির টাকায় ৩৪৪ ফুট দীর্ঘ ও ৫ ফুট প্রসস্থ সেতু নির্মানে ব্যয় ধরা হয় ২৭ লাখ টাকা। কাজ পায় গাইবান্ধার সাঘাটা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছানা এন্টারপ্রাইজ। কাগজে কলমে কাজ ছানা এন্টারপ্রাইজের নামে হলেও কাজটি মুলত উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম তার চামচাদের দিয়ে কাজ করা শুরু করেন।
২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২০২৪ সালের জানুয়াররি মাঝামাঝি অবধি কাজ না করেই টাকাও বিলের টাকাও তোলা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজটি এতে নিন্মমানের করা হয় যে বালু ও রডের ব্যবহার নেই বললেই চলে। ফলে কাজ শুরুর ১ মাসের মাথায় চলতি বছর জুন মাসে ব্রীজটির অধৈক অংশ ডেবে যায় ও হেলে পড়ে। দৈনিক যুগান্তরে ছবি সহ নিউজটি ছাপা হলে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ থেকে একটি তদন্তটীম গঠন করা হয়। ব্রীজটি বাঁশ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রীজটির অর্ধেক অংশ শ্রোতের টানে ধসে পানিতে পড়ে যায়। বাধ্য হয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে ওই পথে চলাচলকারীদের জন্য ছোট নৌকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তিস্তার শাখা নদীর শ্রোটের টানে এই নৌকায় চলাচল করতে হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে । তারপরও গুনতে হয় ১০ টাকা করে। মাসে ৩০০ টাকায় পারাপার হতে হয়।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জে একটি তদন্তটীম গঠন করা হলেও আলোর মুখ দেখেনি। ঠিকাদার, ইঞ্জিনিয়ার ও দায়ীত্বরত কর্মকর্তারা আস্তে আস্তে আড়ালে থেকে যাচ্ছে। এলাকাবসীর দাবী ব্রীজের বদলে নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে টাকা দিয়ে অথচ হরিলুটের সাথে জড়িতরা বেঁচে যাওয়ার মতো অবস্থা দাড়িয়েছে। দৃশ্যমান কিছুই দেখা যাচ্ছেনা বলে এলাকার লোকজন ক্ষুদ্ধ ।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকেও একটি তদন্ত টীম গঠন করা হয়েছে । কিন্তু তদন্তে কি এসেছে তা আমার জানা নাই ।
আপনার মতামত লিখুন :