শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০২:১২ পিএম

টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষে খরচ বৃদ্ধি

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০২:১২ পিএম

টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ চাষে খরচ বৃদ্ধি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষকদের মরিচ চাষে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

পচারি রোগে মরিচ গাছ মরে গেছে । এতে কৃষকদের কয়েক দফায় মরিচের চারা লাগাতে হয়েছে । মরিচের চারা সংগ্রহ করতেও বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। টানা বৃষ্টির জন্য কৃষক আগাম মরিচ বাজারজাত করতে পারছেন না। কৃষকদের চারা সংকট মোকাবেলায় বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি পঞ্চাশ হাজার কোকোপিটের মরিচের চারা সরবরাহ করবে ।

প্রতিবছরের মত সারিয়াকান্দিতে এ বছরও কৃষকরা আগাম জাতের হাইব্রিড মরিচের চারা জমিতে রোপণ করেছেন। রোপণের সময় অনুযায়ী কৃষকেরা সঠিক সময়ে কাঁচা মরিচ বাজারজাত করতে পারেননি।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে বেশিরভাগ মরিচ গাছে পচারি রোগ ধরে তা নষ্ট হয়েছে। তাই মরে যাওয়া মরিচ গাছের যায়গায় আবারো নতুন করে কয়েকবার মরিচের চারা রোপণ করতে হয়েছে। সঠিক সময়ে মরিচ গাছে মরিচ ধরেনি।

সরেজমিনে উপজেলার চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, কয়েকজন কৃষক তাদের নষ্ট হওয়া মরিচ ক্ষেত থেকে সরিয়ে দিয়ে আবারও নতুন করে মরিচ গাছ রোপণ করছেন। মরিচ গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগের আক্রমণ হচ্ছে।

অতিবৃষ্টির কারণে জমিতে বারবার নিড়ানি দেয়া এবং মরিচ গাছে বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। অনেকেই ২ থেকে ৩ বারও মরিচের চারা রোপণ করেছেন। এতে শ্রমিক খরচও বেশি হয়ে আগের চেয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান তার ৫ বিঘা জমিতে গত বছর মরিচ চাষ করে ২ লাখ টাকা আয় করেছিলেন। এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তার ৫ বিঘা জমিতে ৬০ হাজার টাকা খরচ বেড়েছে। তাছাড়া সঠিক সময়ে তিনি কাঁচা মরিচ বাজারজাত করতে পারছেন না।

একই এলাকার কৃষক খাজা আকন্দ (৫৫) ২ বার মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন করে আবারও জমি তৈরি করছেন মরিচ চাষের জন্য। ত্রিশ শতক জমিতে প্রতিবার মরিচ চাষ করতে তার ১৫ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হয়েছে। পুনরায় শেষবারের মতো তিনি মরিচ চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন। তবে চারা সংগ্রহ নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ উপজেলায় ৩ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ উৎপন্ন হয়েছিল। এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর। যা ৩০৫০ হেক্টর জমিতে উৎপন্ন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, মরিচ গাছের পঁচনরোধ করতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, চরের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা সরকারি প্রতিষ্ঠান পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ক্ষতিগ্রস্থদের ৫০ হাজার মরিচ চারা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। বন্যা পরবর্তী সঙ্কট মোকাবিলায় ফসল নষ্ট হওয়া জমিগুলো দ্রুত চাষের আওতায় আনতে কোকোপিটে উচ্চফলনশীল মরিচ চারা উৎপাদন করছে তারা।

আরবি/জেডআর

Link copied!