শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সাইদুর রহমান, সিংড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম

সিংড়ায় বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে পানিফলের চাষ

সাইদুর রহমান, সিংড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০১:৪৮ পিএম

সিংড়ায়  বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে পানিফলের চাষ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পানিফল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের সিংড়ার চলনবিল অঞ্চলের কৃষক। অল্প খরচে লাভবান হওয়ায় প্রায় দুই দশক ধরে এই এলাকার কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে পানিফলের চাষ করে আসছেন। তবে গত কয়েক বছরের চেয়ে এ বছর আগাম চাষ করায় শীতের আগেই ফল ধরা শুরু করেছে। তাই জমি থেকে ফল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক।

কৃষকরা বলছেন, শীতের শুরুতে বাজারে ফলের চাহিদা বেশি থাকে। দামও বেশি পাওয়া যায়। আবহাওয়া অনূকূল থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন তারা।

সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের কৈগ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে পানিফল সংগ্রহ করছেন কৃষক। প্রতি বছর এই গ্রামে ৮ থেকে ১০ জন কৃষক পানিফল চাষ করেন।

এবছর তাদের পানি ফল চাষের জমির পরিমান প্রায় ২২ বিঘা। গত দুই দশক ধরে এই গ্রামের কৃষকরা বাণিজ্যিক ভাবে পানিফল চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অনেক প্রান্তিক কৃষকদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।

স্থানীয়রা জানায়, পানিফল মৌসুম শুরু হলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা আসেন এ গ্রামে। উপজেলায় এ গ্রামকে  কেউ কেউ পানিফলের গ্রাম নামেও চিনেন।

কৃষকরা জানায়, প্রায় ৩০ বছর আগে কৈগ্রামে প্রথম পানিফলের চাষ শুরু করেন রইচ উদ্দিন। রইচ উদ্দিনের সফলতা দেখে এ গ্রামের অনেকেই ঝুঁকে পড়েন পানিফল চাষে।

কৃষক রইচ উদ্দিন জানান, পতিত পুকুর, ডোবা নালায় বর্ষাকালে অল্প পরিমান পানি থাকে এমন নীচু জমিতে পানি ফলের চাষ ভালো হয়।অল্প খরচে লাভ বেশি হলেও পরিশ্রম করতে হয় বেশি। বিশেষ করে  প্রতি দিনই জমি থেকে ফল সংগ্রহ করতে  হয়।

তিনি জানান, আমি অন্য কোন আবাদ করি না। প্রতি বছরই দুই এক বিঘা জমি ইজারা নিয়ে পানিফল চাষ করি। এবছর। ৭ হাজার টাকা ইজারা সহ আমার মোট খরচ ১২ হাজার টাকা। নিজে পরিশ্রম করি তাই শ্রমিক খরচ কম।  তিনি এ জমি থেকে খরচ বাদে ৭০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন।

কৃষক আব্দুল মজিদ, ইদ্রিস আলী  ও শহিদ হোসেন জানান, এবার ফলন ও বাজার মুল্য দুটোই ভালো। দেড় থেকে দুই হাজার টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। শীতের শেষ পর্যন্ত বাজার ঠিক থাকলে গতবছরের চেয়ে লাভ বেশি হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, সিংড়া উপজেলার রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের কৈগ্রামসহ পৌরসভার চক সিংড়া, সোহাগ বাড়ি, তাজপুর, কলম  এবং শেরকোল ইউনিয়নের পতিত ও নীচু জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে কৃষকরা পানি ফল চাষ করছেন। এতে খরচ ও পরিশ্রম কম, লাভ বেশি। পানিফল চাষে রোগবালাই কম। তাই পানিফল চাষে  আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকদের পাশে থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

আরবি/জেডআর

Link copied!