জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে ক্যান্সার রোগীর নামে টাকা তুলতে গিয়ে তিনজন ভুয়া সমন্বয়কারী জনতার হাতে আটক হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নরপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন বৈশাখী আক্তার, রিফাত হাসান ও সিফাত মিয়া। জানা যায়, বৈশাখী আক্তার, ডোয়াইল ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের ওয়াদুদ এর মেয়ে ও সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, পোগলদিঘা ইউনিয়নের চর পোগলদিঘা গ্রামের বাদল মিয়ার ছেলে ও সরবান হাসান টেকনিক্যাল এন্ড বিএম কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত হাসান ও একই ইউনিয়নের রুদ্র বয়ড়া একুশে মোড় এলাকার সুরুজ আলীর ছেলে ও আলহাজ্ব মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিফাত আহমেদ।
তারা ক্যান্সার রোগীর নাম ভাঙিয়ে তিন জন সমন্বয়ক পরিচয়ে টাকা উত্তোলন করার সময় জনসাধারণ তাদের আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন সমন্বয় পরিচয় বহনকারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
এঘটনায় আটককৃত বৈশাখী, রিফাত ও সিফাত বলেন, ‘আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকুল মিয়ার নির্দেশে একজন ক্যান্সার রোগীকে বাঁচানোর নামে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা উত্তোলন করি। উত্তোলনকৃত টাকা সমন্বয়ক আকুল মিয়ার কাছে জমা দেই। তিনি এই টাকা দিয়ে কি করেন আমরা জানিনা।
এদিকে অভিযুক্ত আকুল মিয়া বলেন, ‘আমি কোন ক্যান্সার রোগীর নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা উত্তোলন করতে বলিনি। তারা সমন্বয়ক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
এ-বিষয়ে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন জায়গা হতে চাঁদাবাজি করছে। তারা কখনোই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল না। যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিল। তারা বর্তমানে সরিষাবাড়িতে নেই। তারা আটকৃতদের পরিচয়ের বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে খতিয়ে দেখার দাবি জানান।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ চাঁদ মিয়া জানান, ৩ জন ভুয়া সমন্বয়কারী আটকের সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় নি। তারা ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড করবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
